শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সফল ব্লাক রাইস চাষি রেজওয়ানুল সরকার সোহাগ

সফল ব্লাক রাইস চাষি রেজওয়ানুল সরকার সোহাগ

ব্লাক রাইস চাষি রেজওয়ানুল সরকার সোহাগ একজন সিঙ্গাপুর ফেরত ধান চাষি। তার ঠিকানা দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার কামার পাড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে। তিনি সিঙ্গাপুরে প্রথম এই কালো চালের সাথে পরিচয় হয়। এর পর দেশে ফিরে তিনি ব্লাক রাইস ধান চাষের সিদ্ধান্ত নেন। এরপর ইন্দোনেশিয়া থেকে বীজ সংগ্রহ করে চাষ শুরু করেন। 

ব্লাক রাইস চাষ বিবরণঃ

কৃষি প্রতিষ্ঠান/ খামারের নাম সোহাগ কৃষি খামার
প্রোপ্রাইটরের নাম রেজওয়ানুল সরকার সোহাগ
ঠিকানা দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার কামার পাড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রাম।
খামারের ধরন ব্লাক রাইচ বা কালো ধান চাষ ও সাধারণ কৃষি খামার
সংখ্যা/পরিমান ব্লাক রাইচ ধান ৫২ শতক জমি, গরু, ছাগল ও মুরগি পালন।
সম্পদ ও জনবল জমি ১০ বিঘা, ৫ জন
উৎপাদন একরে ৩৫ মণ উৎপাদন সম্ভাবনা আছে
ব্যবস্থাপনা অন্যান্য আর সাধারণ ধানের মতোই পরিচর্যা করতে হয় এই ধানের। অতিরিক্ত কোনো কিছুই করতে হয় না। ব্লাক রাইসের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি এবং বাংলাদেশে চাষের উপযোগী।
বিক্রয় প্রতি কেজি কমপক্ষে ৫০০ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন।
সমস্যা কালো ধান বা ব্লাক রাইচ চাষে তেমন কোন সমস্যা তিনি দেখছেন না।
পরিকল্পনা আগামী বছর থেকে এই বিশেষ কালো ধান আরো বেশি পরিমানে চাষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
মুল্যায়ন কালো চাল দেখতে যেমন কালো হয়, এ চালের ভাতও কালো হয় এবং অধীক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ, সুগন্ধযুক্ত ও স্বাস্থ্যকর। এ কালো চাল সারা পৃথিবীতে খুবই সমাদৃত।

শ্রদ্ধেয় সোহাগ ভাই এর মত আরো কয়েক জন এরকম উদ্যোগ এর আগেও বাংলাদেশে নিয়েছেন। কুমিল্লার মন্জুর হোসেন। তিনি ১০ একর জমিতে ব্ল্যাক রাইচ চাষ করেন।

ব্লাক রাইচ একটি পুষ্টিগুণে দারুন একপ্রকার চাউল। এতে ভিটামিন, ফাইবার ও মিনারেল রয়েছে। তাই কালো চাল উৎপাদনে মনোযোগী হয়েছেন। অনেকে বিদেশ থেকে বেশি দামে চাল কিনে খায়।

দৈনিক বগুড়া