বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

লালমনিরহাটে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে কচুর লতি চাষ, দামে খুশি চাষিরা!

লালমনিরহাটে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে কচুর লতি চাষ, দামে খুশি চাষিরা!

লালমনিরহাট সদর উপজেলায় দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে কচুর লতি চাষ। এই কচুর লতি চাষ করেই অনেক চাষি তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করছেন। কচুর লতি চাষে তুলনামূলক কম শ্রম ও অধিক লাভ হওয়ায় দিন দিন কচুর লতি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন এই অঞ্চলের চাষিরা। কচু বিক্রির পাশাপাশি কচুর লতি বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।

জানা যায়, কচুখেতে বাড়তি ফসল হিসেবেই কচুর লতি হয়। কচুর ফলন বৃদ্ধিতেই কচুর লতিও বেশি পাওয়া যায়। বিঘা প্রতি কচুখেতে ১৫০-২০০ কেজি পর্যন্ত কচুর লতি পাওয়া যায়। বর্তমানে প্রতি কেজি কচুর লতি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এবছর কচুর লতির দাম ৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় এ থেকে বাড়তি আয় করে খুশি চাষিরা।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের বুমকা এলাকার কৃষক বিমল চন্দ্র বর্মণ বলেন, এবছর ১ বিঘা জমিতে কচুর চাষ করেছি। ফলন বেশি হওয়ায় এখন পর্যন্ত ৭০ কেজি কচুর লতি বিক্রি করেছি। প্রতি কেজি কচুর লতি ৪০ টাকা করে বিক্রি করেছি। আরো ৫০-৬০ কেজি কচুর লতি বিক্রি করতে পারবো।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের কৃষক দিলবর হোসেন বলেন, আমরা তিন ধরনের কচুর চাষ করি। বই কচু, বাক্স কচু, ও কাঠ কচু। বিগত বছরগুলোতে কচু বিক্রি করে তেমন লাভ হয়নি। কিন্তু এবছর কচুর লতি বিক্রি করেই ভালো টাকা আয় হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, কচু চাষে ৬ মাস সময় লাগে। এবছর ৪ বিঘা জমিতে কচু চাষ করি। কচু পুরোপুরি বিক্রি উপযোগী না হলেও কচুর লতি বিক্রি করতে পারছি।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার চওড়াটারী গ্রামের কৃষক আশরাফ আলী বলেন, এবছর ৫ বিঘা জমিতে কচুর চাষ করি। এখন পর্যন্ত ৪০০ কেজি কচুর লতি বিক্রি করেছি। আরো ৫০০ কেজি বিক্রি করতে পারবো। গত বছরের তুলনায় এবছর লতির দাম বেশি হওয়ায় লাভবান হচ্ছি। কুড়িগ্রাম পৌর কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা বেলাল হোসেন বলেন, বাজারে কচুর লতির ক্রেতা খুব বেশি। গত বছরের তুলনায় এবছর দাম বেশি হলেও ক্রেতারা কিনছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানা যায়, এবছর এ অঞ্চলে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন কচু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। আর লতি ৪ হাজার মেট্রিক টন। লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক হামিদুর রহমান বলেন, কচুর পাশাপাশি কচুর লতিতেও অনেক পুষ্টিগুন রয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবছর উৎপাদন কম হলেও কচু ও কচুর লতির দাম বেড়েছে। বিশেষ করে কচুর লতি বিক্রি করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।

দৈনিক বগুড়া