শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পলিনেট হাউজে ক্যাপসিকাম চাষে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন স্কুল শিক্ষক

পলিনেট হাউজে ক্যাপসিকাম চাষে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন স্কুল শিক্ষক

রাজশাহীর বাঘায় পলিনেট হাউজে চাষ হচ্ছে ক্যাপসিকাম (মিষ্টি মরিচ)। সবজি জাতীয় এ ফসল চাষে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন স্কুল শিক্ষক আমিনুল ইসলাম রুমন। উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক সহায়তায় বাউসা মাঠে এই ক্যাপসিকাম (মিষ্টি মরিচ) চাষ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান ক্যাপসিকাম (মিষ্টি মরিচ) চাষের পলিনেট হাউজ পরিদর্শন করেন। এ সময় সাথে ছিলেন সহকারি কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা যারীন নিলয়, বাউসা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান শফিক।

জানা যায়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অর্থায়নে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে আমিনুল ইসলাম রুমন তার নিজ ২৫ শতক জমিতে লোহার পাইপের খুঁটির উপরে ও চারিদিকে পলিথিন দিয়ে পলিনেট হাউজ তৈরী করেন।

পলিনেট হাউজের মধ্যে ক্যাপসিকাম (মিষ্টি মরিচ) আবাদ করে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন রুমন। ইতিমধ্যেই আমিনুল ইসলাম রুমন এই আবাদ করে ৫০ হাজার টাকা ব্যায় করেছেন। তিনি আগামী ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে বিক্রি শুরু করবেন। তিনি আশা করছেন ৫ লক্ষ টাকায় ক্যাপসিকাম (মিষ্টি মরিচ) বিক্রি করবেন।

আমিনুল ইসলাম রুমন বাউসা পূর্বপাড়া গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলীর ছেলে। তিনি বাউসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তার স্ত্রী সুলতানা খাতুন একই স্কুলের সহকারি শিক্ষক। শিক্ষতার পাশাপাশি তিনি পলিনেট শেডে অসময়ে তরমুজ, টমেটো, স্ট্রবেরি, ফুলকপি, বাধাকপি ও গাজর চাষ করেন। তার সংসারে বাবা, মা ও দুই সন্তার রয়েছে।

এ বিষয়ে আমিনুল ইসলাম রুমন বলেন, ১ হাজার ৮ বর্গফুটের পলিনেট হাউজে তৈরী করা হয়েছে। এই পলিনেট হাউজে ক্যাপসিকাম (মিষ্টি মরিচ) চাষ করা হয়েছে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে এ ক্যাপসিকাম (মিষ্টি মরিচ) ২০০-২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন। এটি অভিজাত হোটেল ও ফাস্টফুডে ব্যবহৃত হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, ইউরোপে ব্যবহৃত পদ্ধতি অনুযায়ী লোহার পাইপের খুঁটির উপরে ও চারদিকে পলিথিন দিয়ে বানানো হয়েছে পলিনেট হাউস। এই হাউজে সারা বছর সবজি চাষ করা যায়। অসময়ে সবজি চাষ করে বেশি লাভের আশায় এ পদ্ধতি তৈরী করেছেন।

ক্যাপসিকাম (মিষ্টি মরিচ) সারা বিশ্বে জনপ্রিয়। এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ এবং সি রয়েছে। নতুন উদ্ভাবনে ক্যাপসিকাম (মিষ্টি মরিচ) মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এটি সাধারণত গোলাকার।

দৈনিক বগুড়া