শনিবার, ০২ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

মাসুদ রানা নিজেকে প্রমাণ করেছেন

মাসুদ রানা নিজেকে প্রমাণ করেছেন

সংগৃহীত

মাসুদ রানা (৪০) একটি অনুপ্রেরণার নাম। বাবা মো. খায়রুল ইসলাম ছিলেন কৃষক। দিনাজপুর শহরের নয়নপুর এলাকায় বাড়ি। তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সবার ছোট মাসুদ। পারিবারিক ১২ বিঘা জমিতেই ফসল ফলানোর কাজ করতেন বাবা। মাত্র সাত বছর বয়সে বাবাকে হারান মাসুদ। বড় ভাই সংসারের হাল ধরেন। ভাইবোন সবাই বিভিন্ন স্কুলে লেখাপড়া করতেন। কিন্তু পরিবারের আর্থিক টানাপোড়েনের কারণে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার পাশাপাশি মাসুদ সেন্ট্রাল কুরিয়ার সার্ভিসে কাজ নেন। স্থানীয় চেহেলগাজী স্কুলে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার সময় ১৯৯৯ সালে স্থানীয় রামজীবনপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করেন।

এরপর তিনি মেজ ভাইয়ের সঙ্গে রাইস মিল সেটিংয়ের কাজে যুক্ত হন। ২০০০ সালে তিনি শহরের রাজবাড়ী এলাকায় এক মাড়োয়ারি ব্যবসায়ীর ত্রিবেণী অটো রাইস মিলে মিস্ত্রি হিসেবে যোগ দেন।

মাসুদ রানার জীবনে এর পরের ইতিহাসটা কেবলই জয়ের। মাসুদ রানা তাঁর জীবনসংগ্রামের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেন যে, ‘পরিশ্রম সৌভাগ্যের চাবিকাঠি’। রাইস মিলের চাকরি ছেড়ে মাসুদ রানা পুরোপুরি আড়তদারি ব্যবসায় নেমে পড়েন। ২০১৬ সালে নিজে পুলহাট শিল্প এলাকা–সংলগ্ন মাধবপুর গ্রামে ৩৯ শতক জমিসহ একটি হাসকিং মিল কেনেন। মিল লাগোয়া স্থানে ৫, ১০, ও ২০ শতক করে জমি কিনে বর্তমানে মোট ৯ বিঘা জমি কিনে সেখানে তিনটি ড্রায়ার, দুটি শর্টার, একটি এক হাজার মণ ধান শুকানোর চাতাল ছাড়াও ১০ হাজার বস্তা ধান ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ৬টি গুদামসহ তিনটি অটো রাইস মিল গড়ে তুলেছেন। মাসুদ রানার কোম্পানির নাম মেসার্স হাজী ইন্ডাস্ট্রিজ অটো আতপ রাইস মিল।

মাসুদ রানা বলেন, ‘আজকের উন্নতির পেছনে ঢাকা ব্যাংক পিএলসি দিনাজপুর শাখার অবদান বিশাল। ঢাকা ব্যাংক যথাসময়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে না দিলে তার আজকের এই সফলতা সম্ভব ছিল না।’ বর্তমানে তাঁর শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায় ৪৮ জন ম্যানেজার ছাড়াও ২৫০ জন শ্রমিক স্থায়ীভাবে কর্মরত আছে।

সূত্র: প্রথম আলো

সর্বশেষ:

শিরোনাম: