
রান্নার স্বাদ বৃদ্ধি করতে পোস্তদানা আমরা ব্যবহার করে থাকি। পোস্তদানা হলো এক ধরণের তৈলবীজ যা ছোট বৃক্ষের মত দেখায়। পোস্ত বীজ আস্ত অথবা গুঁড়ো অবস্থায় বিভিন্ন খাদ্যে মশলা হিসাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। রান্নায় অতুলনীয় স্বাদের জন্য ব্যবহত পোস্ত ক্যালসিয়াম ,পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং আয়রনে পূর্ণ।
এছাড়াও পোস্ত দানাতে রয়েছে প্রচুর ফাইবার আর ফ্যাটি-অ্যাসিড। বিশেজ্ঞদদের মতে বাড়িতে অবশ্যই পোস্ত রাখা উচিত।
পোস্তদানা দিয়ে আমরা বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি। তবে পোস্তদানার যে বিভিন্ন উপকারি উপাদান আছে তা আমাদের প্রায় সকলেরই অজানা। আজকের লেখাতে থাকছে পোস্তদানার বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা।
তাহলে আসুন এবার জেনে নেওয়া যাক পোস্তদানার বিভিন্ন ধরনের উপকারিতাঃ
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ
পোস্ততে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। গরম ভাতের সাথে পোস্ত বাটা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
হাড়ের ক্ষয় রোধ করেঃ
ক্যালসিয়াম আর ফসফরাস থাকায় হাড় শক্তিশালী হয়। জয়েন্ট পেইন বা হাড় ফুলে গেলে দ্রুত আরাম পাওয়ার জন্য পোস্ত বাটা আক্রান্ত স্থানে লাগাতে পারেন।
মুখের আলসার রোধ করেঃ
শরীরের ভেতরের তাপমাত্রার পরিমান বৃদ্ধি পেলে মুখে আলসার বা ঘা দেখা দিতে পারে। পোস্তদানা শরীরকে ঠাণ্ডা রাখে এবং মুখের আলসার হতে বাধা দেয়।
পোস্ত বাটার সঙ্গে চিনি মিশিয়ে খেলে মুখের আলসার থেকে হওয়া ব্যথায় দ্রুত আরাম পাওয়া যাবে।
হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখেঃ
ফ্যাটি এসিড থাকায় রক্তে কোলেস্টেরল কমে ফলে হৃদযন্ত্র ভালো থাকে। হার্ট ডিজিজ বা হার্ট অ্যাটাক রোধ করতে রোজকার খাবারের তালিকায় অল্প করে হলেও পোস্ত রাখা উচিত।
ত্বক সংক্রমিত হতে বাধা দেয়ঃ
বিভিন্ন রকমের ত্বকের রোগ যেমন- চুলকানি বা র্যাশ-এ পোস্ত খুব দ্রুত আরাম দেয়। পোস্ত বাটার মধ্যে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মেশান। এরপর আক্রান্ত স্থানে মোটা করে লাগিয়ে রাখুন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ
পোস্ততে প্রচুর পরিমাণে জিংক থাকায় দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখেঃ
পোস্তদানা মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। ক্যালসিয়াম, আয়রন, আর কপার থাকায় মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ভালো থাকে।
ঘুমাতে সাহায্য করেঃ
যাদের ইনসমনিয়া আছে তারা পোস্ত বাটা আর চিনি একসাথে মিশিয়ে ঘুমাতে যাওয়ার আগে খেতে পারেন, দ্রুত ঘুম আসবে।
দৈনিক বগুড়া