
বাংলাদেশে গম একটি অতি পরিচিত খাদ্য । ধানের পর গম বাংলাদেশের প্রধান খাদ্য । গম বিশ্বব্যাপী উৎপাদিত একটি ঘাস জাতীয় উদ্ভিদ। যার আদি উৎপত্তি মধ্যপ্রাচ্যের লেভান্ট অঞ্চলে, কিন্তু এখন গম সারাবিশ্বে চাষ করা হয়।
বিশ্বব্যাপী গম এখন প্রোটিনের নিরামিষ উৎস হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গম এত দিন শুধু শস্য হিসেবে ব্যবহার হলেও আধুনিক গবেষণা অনুযায়ী গম পাতায় রয়েছে বিস্ময়কর সব উপাদান । গম এত দিন শুধু শস্য হিসেবে ব্যবহার হলেও আধুনিক গবেষণা অনুযায়ী গম পাতায় রয়েছে বিস্ময়কর সব উপাদান। মহান সৃষ্টিকর্তা সবুজ পাতার রস শরীরের জন্য উপকারী খাবার হিসাবে আমাদের উপহার দিয়েছেন।
এর উপকার এবং বিরল ঔষধী গুন সম্বদ্ধে আমাদের দেশে প্রায় অজ্ঞাত রয়ে গেছে। গবেষণায় দেখা গেছে বিভিন্ন গাছের পাতা মানুষ এবং বিভিন্ন প্রজাতির পশুপক্ষী কিট পতঙ্গের খাবার হিসাবে সরাসরি বা বিকল্প হিসাবে ব্যাবহার হয়ে আসছে। গমের যে ভেষজ উপাদান রয়েছে তা এখন আমরা জানব ।
পুষ্টিগুণ :
গমে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। কারণ প্রতি ১০০ গ্রাম গমে রয়েছে আমিষ ১২.১ গ্রাম, শর্করা ৬৯.৪ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৪৮ মিলিগ্রাম, লৌহ ১১.৫ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ২৯ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন বি-১ ০.৪৯ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি-২ ০.২৯ মিলিগ্রাম, আঁশ ১.৯ গ্রাম, খনিজ পদার্থ ২.৭ গ্রাম এবং জলীয় অংশ থাকে ১২.২ গ্রাম।
উপকারিতা
লিভারের পক্ষে উপকারি :
আপনার পেটের এই অংশটি যদি সুস্থ না থাকে , তাহলে হজম না হওয়া থেকে শুরু করে আরও বিপজ্জনক নানান অসুখই হতে পারে আপনার । এ ক্ষেত্রে গমের রস সার্বিকভাবে আপনার লিভারকে পুরোপুরি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে ।
শরীরকে দূষন থেকে রক্ষা করে :
এতে থাকে শক্তিশালী এনজাইম ও বায়ো কেমিক্যাল যা দূষিত টক্সিন , ভারী ধাতু , এমনকি রেডিয়েশন থেকেও আপনার শরীরকে রক্ষা করে ।
ক্লোরফিলের প্রভুত জোগান :
এতে ক্লোরফিলের ৭০ শতাংশ উপস্থিতি আপনাকে একসাথে একাধিক দুরুহ রোগের হাত থেকে বাঁচায় । এমনকি, ক্লোরফিলের এত ভালো জোগান আপনি আর কোনও ভেষজ পাবেন না । এই পরিমাণ ক্লোরোফিল রক্ত শোধিত করতে হার্টের একাধিক সমস্যার ক্ষেত্রে ও অন্যান্য সমস্ত শারীরিক সমস্যায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ্ ভূমিকা নিয়ে থাকে ।
বয়সকে ধরে রাখে :
এতে থাকা এনজাইমের একাধিক উপকারিতার মদ্যে এটি একটি । আপনার বয়সের ছাপও আপনার শরীর ও মনে পরবে না । বয়সের গতিও অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে এর নিয়মিত ব্যবহার ।
অ্যান্টিব্যকটেরিয়াল :
এটি একটি অ্যান্টিব্যকটেরিয়াল উপাদান । আপনার শরীরে বাসা বেধে থাকা সমস্ত ক্ষতিকর ব্যবটেরিয়াগুলিকে নিমূল করার জন্য এটি একটি অদ্বিতীয় উপাদান ।
ত্বকের যত্নে ব্যবহার করুন :
একজিমা রোদে পুড়ে যাওয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে এটিকে অয়েন্টমেন্টের মতো ব্যবহার করলে দ্রূত ফল পাাবেন । ব্রন বা মুখের দাগের ক্ষেত্রেও এটির উপকারিতা পাবেন।
দাতের ক্ষয় রোধ করে :
গম পাতার রস দাঁত দীর্ঘায়ূ করার ক্ষেত্রেও এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ন । দাঁতের মাড়িকে ও এটি সুস্থ রাখে ।
খুশকি দূর করে :
আপনি যদি গমের রসকে মাথায় লাগিয়ে রাখেন ও তারপর ১৫ মিনিট পরে মাথা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলেন, তাহলে আপনার খুশকি নিয়ে দুশ্চিন্তায় মিটে যাবে ।
কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ন্ত্রনে রাখে :
গম পাতার রসে থাকা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাকে অনেকটা নিয়ন্ত্রনে রাখে ।
গাটের ব্যাথাকে কমায় :
যে বয়সই হোক না কেন এটি গাঁটের ব্যাথাকে কমানোর ক্ষেত্রেও একে কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন ।
দৈনিক বগুড়া