সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

গোলাপজাম মুখের রুচি বৃদ্ধি করে

গোলাপজাম মুখের রুচি বৃদ্ধি করে

সংগৃহীত

সুস্থ শরীরে জন্য খাদ্য তালিকায় ফল ব্যবহারের দিকে সবাই এখন সচেতন। দেশি ফলের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণ বিদেশি ফল আমদানি করা হয়।

কিন্তু অনেকেই জানেন না উচ্চ মূল্যে কেনা বিদেশি ফল থেকে দেশি ফলেই পুষ্টি থাকে বেশি। গোলাপজাম তেমনি একটি পুষ্টিকর ফল। এটি এখন বন বাদাড় থেকেও হারিয়ে যেতে বসেছে। বাড়ির আঙ্গিনায়ও আর শখ করে এটি কেউ লাগান না।

গোলাপজামের বৈজ্ঞানিক নাম Syzygium jambos।  বাড়ীর আঙ্গিনায় বা পাহাড়ী এলাকায় একসময় প্রচুর দেখা যেত দৃষ্টি নন্দন এই ফল। ফল হিসেবে গোলাপজাম বাংলার একটি পরিচিত ফল। খেতে অতি সুস্বাদু। অন্যান্য স্থানীয় নাম গুলো হচ্ছে Malabar plum, Rose apple, Gulab jamun, Jamb। নাম থেকেই বোঝা যায় এটি মূলত দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার গাছ।  এই গাছ দীর্ঘদিন বাঁচে। প্রায় ৪০ থেকে ৫০ বছর ধরে ফল দান করে। গাছ মাঝারী আকৃতির। গাছ লাগানোর ২/৩ বছর পর থেকেই ফল সংগ্রহ করা যায়। গোলাপজাম গাছে মাঘ-ফাল্গুন মাসে ফুল আসে এবং বৈশাখ থেকে শ্রাবণ মাসের মধ্যে ফল পাকে। গোলাপজামের ফুলও খুবই দৃষ্টিনন্দন।

গোলাপজাম কাঁচা অবস্থায় সবুজাভ এবং কিছুটা শক্ত হলেও পাকলে নরম ও সাদাটে হয়। পাকা গোলাপজামের গোলাপ ফুলের মতো ঘ্রাণ যেকোনো মানুষের মনকে বিমোহিত করে তোলে। ভেতরে ২টি বীজ থাকে, যা থেকে বংশ বিস্তার হয়। পুষ্পবিন্যাস নিয়ত, ফুল উভলিঙ্গিক, অধোগর্ভ, পুষ্পদণ্ড লম্বা।  এই গাছ বাংলাদেশ, ভারত, ফিলিপাইন, চীন, ভিয়েতনাম প্রভৃতি দেশে জন্মে।

পুষ্টিগুণ

টক মিষ্টি স্বাদের এই ফলে প্রচুর ভিটামিন সি ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন বি১, বি২, ক্যারোটিন এবং ক্যালসিয়াম। একটি গোলাপজামে প্রায় ৪০ কিলো ক্যালরি খাদ্যশক্তি থাকে।

উপকারিতা

(১) গোলাপ জাম গাছের ছাল ও পাতা সিদ্ধ করে এই ক্বাথ সেবন করলে পেটের পীড়ায় উপকার পাওয়া যায়।

(২) গোলাপ জাম গাছের পাতার রস খাওয়ালে ডায়রিয়া ভালো হয়।

(৩) এই ফল মুখের রুচি বৃদ্ধি করে বমি বমি ভাব দূর হয়।

(৪) গোলাপ জাম গাছের ছাল ও পাতা ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী।

সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ

সর্বশেষ: