সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

ইন্টারনেটে ‘নিষিদ্ধ জিনিসে’ আসক্ত শিক্ষক, দুদিনের ব্যবধানে পরিবার

ইন্টারনেটে ‘নিষিদ্ধ জিনিসে’ আসক্ত শিক্ষক, দুদিনের ব্যবধানে পরিবার

ভারতের কোচবিহারের উৎপল বর্মন (৩৬) নামের এক কলেজ শিক্ষকের মরদেহ ঘরের সিলিংয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের সময় হেডফোনের তার দিয়ে মরদেহ হাত বাঁধা ছিল।   

ধারণা করা হচ্ছে, স্ত্রী-ছেলেকে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যা করেছেন ওই কলেজ শিক্ষক। সম্ভবত দুদিন আগে স্ত্রী-ছেলেকে খুন করে বুধবার তিনি আত্মঘাতী হন।

এরই মধ্যে উৎপলের বন্ধুরা চাঞ্চল্যকর এক তথ্য দিয়েছেন। তারা জানান, সম্প্রতি উৎপলবাবুর কাছ থেকে অশ্লীল মেসেজ পেতেন তারা। তাতেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি অবৈধ কোনো কিছুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি।

পুলিশ জানায়, সুইসাইড নোটে উৎপলবাবু লিখেছেন, ইন্টারনেটে আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তবে ১২ পাতার সুইসাইড নোটে আর কী রয়েছে তা এখনো ধোঁয়াশা। বুধবার সকালে মরদেহ উদ্ধারের সময় উৎপলবাবুর হাত ছিল মোবাইল ফোনের হ্যান্ডসফ্রি দিয়ে বাঁধা। স্ত্রী ও পুত্রকে মোবাইল ফোনের চার্জারের তার পেঁচিয়ে খুন করেছিলেন তিনি।

এ ঘটনা নিয়ে কোচবিহার পুলিশ জানায়, সুইসাইড নোটে উৎপলবাবু লিখেছেন, ইন্টারনেটে আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। যা স্পষ্ট হয়েছে তার মোবাইল ফোনের যোগ।

নিহত উৎপল বর্মনের বন্ধুরা জানান, সম্ভবত ইন্টারনেটে কোনো নিষিদ্ধ জিনিসের সঙ্গে জড়িয়েছিলেন উৎপল। যার জেরে তিনি চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বুধবার সকালে কোচবিহার শহরের ভাড়াবাড়ি থেকে উৎপল বর্মন (৩৬), স্ত্রী অঞ্জনা (৩২) ও শিশুসন্তানের মরদেহ উদ্ধার হয়। একই সঙ্গে উদ্ধার হয় ১২ পাতার একটি দীর্ঘ সুইসাইড নোট। 

পরিবারের সদস্যরা জানান, ইন্টারনেটে খেলায় টাকা লাগাতেন তিনি। বাড়ির মালিক যদিও জানান কোনোদিন কোনো অশান্তির আঁচ পাননি। 

দৈনিক বগুড়া

সর্বশেষ: