শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

খাবার দিয়ে অসহায় অসুস্থ্য বৃদ্ধাকে ঘরে ফেরালেন ইউএনও

খাবার দিয়ে অসহায় অসুস্থ্য বৃদ্ধাকে ঘরে ফেরালেন ইউএনও

অজিতন বেওয়া। বয়স ৮৫। অনেক বছর আগে স্বামী মারা গেছেন। স্বামীর বাড়িতে একখন্ড জমির উপর একটি ঝুপড়ি ঘরে তার বসবাস। আপন বলতে তার এক ছেলে আছে। তিনিও জীবিকার তাগিদে নোয়াখালী জেলার কোন এক স্থানে রিক্সা-ভ্যান চালিয়ে জীবনধারন করছেন।

অজিতন বেওয়া পেটের দায়ে মানুষের কাছে হাত পেতে যা পায় তাই দিয়ে চাল-ডাল কিনে পেটের ভাত জোগান। বর্তমানে শারিরিক ভাবে অসুস্থ্য।

পড়ে গিয়ে তার বাম পাশের পা ভেঙ্গে গেছে। একেতে বয়সের ভাড়ে নূয়ে পড়েছেন। অপরদিকে পা ভেঙ্গে যাওয়ায় চলাফেরা করতে পারেন না। লাঠির সাহায্যে কোন রকমে বাহিরে বের হয়েছেন ঔষধের টাকা ও পেটের ভাত জোগাড় করতে। লকডাউন কি তিনি তা বোঝেন না। বুঝলেও পেটের যন্ত্রণা আর ঔষধের তাগিদে বাহিরে বের হয়ে মানুষের কাছে সাহায্যের জন্য হাত পাততে বাধ্য হয়েছেন তিনি।

অজিতন বেওয়া উপজেলার চোপীনগর ইউনিয়নের বৃ-কৃষ্টিয়া গ্রামের মৃত আফজাল হোসেনের স্ত্রী।

রবিবার বেলা ১২ টার দিকে উপজেলার বি-ব্লক এলাকায় অসুস্থ্য শরির নিয়ে বৃদ্ধাটি হাতে চিকিৎসাপত্র নিয়ে মানুষের কাছে হাত পাততে দেখেন স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা। বৃদ্ধাটির কাছে জানতে পেরে গণমাধ্যমকর্মীরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানান।

খবর পেয়ে সাথে সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসিফ আহমেদ খাবার নিয়ে এসে বৃদ্ধার হাতে তুলে দিয়ে রিক্্রা করে বাড়ি পাঠিয়ে দেন এবং লকডাইন চলাকালে বাড়ি থেকে বের না হতে অনুরোধ করেন তিনি। একই সাথে চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তাও করেন তিনি।

নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আহমেদ জানান, করোনা সংক্রমন থেকে রক্ষা পেতে সারা দেশে কঠোর লকডাউন চলছে। এসময় খুব বেশী প্রয়োজন না হলে ঘর থেকে বের হওয়া যাবে না। লকডাউন সফল করতে সার্বক্ষনিক মাঠে কাজ করছে প্রশাসন।

কারো ঘরে খাবার না থাকলে খবর পেলে সাথে সাথে খাবার পৌছে দেয়া হচ্ছে। মানুষের জীবন বাঁচাতে চিকিৎসা ও খাবারের কথা চিন্তা করে সবধরণের ব্যবস্থা করেছে সরকার। নিজের ও অন্যের জীবন বাঁচাতে ঘর থেকে বের না হওয়ার আহবান জানান তিনি।

দৈনিক বগুড়া