শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ায় স্বাধীনতা দিবসে জলতরঙ্গে বিজয় নিশান

বগুড়ায় স্বাধীনতা দিবসে জলতরঙ্গে বিজয় নিশান

পুকুরে ফুটে তোলা হয়েছে বিশালাকার লাল সবুজের পতাকা। যার একপাশে ১০০ ফুট দৈর্ঘ্যরে নৌকা। নৌকার দুই পাশে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি। আর পতাকার চারপাশে তুলে ধরা হয়েছে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্র। এটির নাম দেয়া হয়েছে ‘জলতরঙ্গে বিজয় নিশান।’ 

বগুড়ার ধুনট উপজেলা পরিষদের পাশে মুজিব চত্বরে এক পুকুরে আলোকসজ্জার মাধ্যমে করা হয়েছে এই জলতরঙ্গে বিজয় নিশান। আগামী ৩১ মার্চ দিবাগত রাত ১২ টা পর্যন্ত চলবে এই প্রদর্শনী। এর আগে, শনিবার সন্ধ্যায় দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয় জলতরঙ্গে বিজয় নিশান।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মজা পুকুর খনন করে আলোকসজ্জার মাধ্যমে জলতরঙ্গে বিজয় নিশান ফুটিয়ে তোলা হয়। যা সম্পন্ন হতে সময় লাগে পনের দিন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পুকুরের নিচে সুতার সঙ্গে বাতি বেধে আলোকসজ্জার মাধ্যমে জাতীয় পতাকা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এতে ব্যবহার করা হয়েছে ৯২ হাজার ৩৪০টি ইলেক্ট্রনিক সবুজ ও লাল রঙের মরিচ বাতি। পতাকাটির দৈর্ঘ্য ১৬০ ফুট ও প্রস্থ ৯৬ ফুট। পতাকার বৃত্ত করা হয়েছে ৩২ ফুট। যেখানে ব্যবহার করা হয়েছে লাল রঙের মরিচ বাতি। একই সঙ্গে পুকুরের চার কর্ণারে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। নৌকার একপাশে বঙ্গবন্ধুকে রাখা হয়েছে। এর মাধ্যমে বোঝানো হয়ে তার সোনার বাংলাদেশ কেমন হবে-এ নিয়ে চিন্তা করছেন তিনি। নৌকার আরেক পাশে বঙ্গবন্ধুর সপ্নকে বাস্তবে রুপ দেয়ার জন্য পতাকার একপাশে প্রধানমন্ত্রীকে মাঝি হিসেবে দেখানো হয়েছে। তিনি হাতে নৌকার বৈঠা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছেন।

পুকুরের চার কর্ণারে চিত্রের মাধ্যমে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হয়েছে। এসব চিত্র রয়েছে মেট্রোরেল, পদ্মাসেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও ফ্লাইওভার। আর ওপরে চিত্রের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট। পুকুরের একপাড়ে ‘আই লাভ বঙ্গবন্ধু’ লেখা আছে- যেখানে বঙ্গবন্ধুর ছবি আছে। আরেক পাড়ে প্রধানমন্ত্রীকে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। 

‘জলতরঙ্গে বিজয় নিশান’ দেখে বগুড়া সদরের বাসিন্দা রুহুল আমিন, জিল্লুর রহমানসহ অনেকে জানান, পুকুরে ইলেকট্রনিক মরিচ বাতি দিয়ে ফুটিয়ে তোলা জাতীয় পতাকার প্রদর্শনী এর আগে কখনও তারা দেখেননি। জলতরঙ্গে বিজয় নিশান দেখে তারা মুগ্ধ হয়েছেন।

জানতে চাইলে ধুনট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, ‘মুজিব জন্মশত বার্ষিকী  উপলক্ষে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা বঙ্গবন্ধুর সপ্ন ও স্বাধীনতার সঙ্গে সম্পৃক্ত করার জন্য এ উদ্যোগ নেয়া হয়। আমি চেয়েছি নতুনত্ত্ব নিয়ে আসতে। অনেক চিন্তা-ভাবনা করার পর জলতরঙ্গে বিজয় নিশান তৈরি করা হয়। এটি উন্মুক্ত করার পর থেকেই দর্শনার্থীদের ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। একটানা পনের দিন পরিশ্রম করার পর নতুন কিছু করতে পেরে আমি খুব আনন্দিত।

দৈনিক বগুড়া