দুর্নীতির মামলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সাবেক সংসদ সদস্য নূর আফরোজ বেগম জ্যোতিকে ৭ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়। বগুড়ার স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এমরান হোসেন চৌধুরী বৃহস্পতিবার বিকেলে সাড়ে ৪ টার দিকে এই রায় দেন বলে দুদকের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত বুধবার একই আদালত জ্যোতির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। ওই দিনই আদালত জানিয়ে দেন বৃহস্পতিবার তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। বগুড়া দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ জানান, দুর্নীতির অভিযোগে নূর আফরোজ বেগমের বিরুদ্ধে ৫৩ লাখ ২২ হাজার টাকা অবৈধ সম্পর্দ অর্জনের তথ্য পায় দুদক। এই বিষয়টি অনুসন্ধানে নিশ্চিত হয়ে দুদক তার বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে মামলা করে। এই মামলার বিচারকাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে।
এই মামলার গত বুধবার (১১ মে) যুক্তিতর্ক শুনানি ছিল। ওই দিন নূর আফরোজ বেগম জ্যোতির আইনজীবী সময় প্রার্থনা করেন। কিন্তু আদালত সময় আবদেন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। একই সাথে এই মামলার রায় ঘোষণার দিন (১৯ মে) ধার্য্য করেন।
বিকেল সাড়ে চারটার এজলাসে বসে বিচারক রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিচারক বলেন, দুর্নীতির দমন আইনের ২৬ এর (২) ধারায় অর্থাৎ তথ্য গোপন করায় আসামীকে ২ বছর জেল ও ৫০ হাজার টাকার জরিমানা করা হলো। আর ২৭ এর (১) ধারায় অথাৎ অবৈধ সম্পদ অর্জন করায় ৫ বছর জেল দেওয়া হলো। একই সঙ্গে এই ধারায় তাকে ৫৩ লাখ ২২ হাজার ৭৯০ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো।
এ সময় জ্যোতির আইনজীবীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের মক্কেল সাবেক সংসদ সদস্য, সেক্ষেত্রে জেলখানায় বিশেষ কোনো সুবিধার আওতায় আসবে কিনা? জবাবে আদালত বলেন, জেল কর্তৃপক্ষ বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিবে। এরপর আদালত আসামীকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন।
নূর আফরোজ বেগম জ্যোতি জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও বগুড়া জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা। তিনি অষ্টম জাতীয় সংসদের মহিলা আসন ১ থেকে মনোনীত সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।
দৈনিক বগুড়া
