শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দুপচাঁচিয়ায় আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

দুপচাঁচিয়ায় আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার দুই পৌরসভা ও ছয় ইউনিয়নের ফসলের মাঠ জুড়ে  এখন সবুজের আমনের সমারোহ। কৃষকের সবুজ স্বপ্নে ছেঁয়ে গেছে প্রতিটি ধানী জমি। মাঠে মাঠে হাওয়ায় দুলছে আমন ধানের সবুজপাতা আর আনন্দে দুলছে দুপচাঁচিয়ার কৃষকদের মন। 

পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবারও আমনের বাম্পার ফলন হবে বলে এ উপজেলার কৃষকরা আশা করছেন। গত বছর যাবত কৃষকরা রোপা আমন মৌসুমেও ধানের বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পেয়ে খুব খুশি। দুপচাঁচিয়া  উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার দুই পৌরসভা ও ছয় ইউনিয়নে এবার ১১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষ করা হয়েছে।

এই উপজেলার কৃষকরা বেশিরভাগ জমিতে  রনজিত, বিনা ৭, বিনা ১৭, ব্রি ধান ৪৯,ব্রি ধান ৭৫,ব্রি ধান ৮০, ব্রি ধান ৮৭, ব্রি ধান ৯০ ও হাইব্রিডসহ বেশ কয়েক জাতের আমন ধান রোপন করেছেন । ইতিমধ্যে অনেক ধানগাছ থেকে মোচা বের হতে শুরু করেছে। 

রোপা আমন ধান গাছ ভাল রাখতে ও ধানের উৎপাদন বাড়াতে এ  উপজেলায় ২০ টি ব্লকে কৃষি কর্মকর্তা ও উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সচেতনতার লক্ষ্যে প্রতিদিন ১টি ব্লকে আলোক ফাঁদ স্থাপন করা, দলীয় আলোচনা, উঠান বৈঠক, লিফলেট বিতারণ করছেন। এতে করে কৃষকরা সবসময় জমিতে পরিচর্যা করতে পেরেছেন। 

এ উপজেলার কৃষক জাহিদুল ইসলাম জানান, আমনের শুরুতে অনাবৃষ্টির কারণে ধান রোপন করতে সময় লেগেছে। এছাড়াও জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি, শ্রমিক খরচ, সার-কীটনাশকের দাম বৃদ্ধি ও পানি কিনে জমি চাষ করতে খরচ বেশি হয়েছে। তাই এবার  বিঘা প্রতি দুই থেকে তিন হাজার টাকা বেশি খরচ গুনতে হচ্ছে। আর কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে আমনের বাম্পার ফলন হবে। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাজেদুল আলম  জানান,  কৃষি কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়ায় ও আবহাওয়া এখন পর্যন্ত অনুকূলে থাকায় আমন ক্ষেতে এবার রোগবালাই কম হয়েছে। ফলে এবারও আমনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ অর্জিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

দৈনিক বগুড়া