শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নন্দীগ্রামে নজর কাটছে ‘ব্ল্যাক রাইস’ ধান

নন্দীগ্রামে নজর কাটছে ‘ব্ল্যাক রাইস’ ধান

দিগন্ত বিস্তৃত ধানক্ষেত। মাঝখানে টুকরো জমিতে সবুজের মাঝে কালচে রঙের ধানক্ষেত। প্রথমবারের মতো ‘ব্ল্যাক রাইস’ নামের এ ধান চাষ করে এলাকায় সাড়া ফেলে দিয়েছেন আলী হাসান। বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের চাকলমা মাঠের এ ধান সবার নজর কেড়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ব্ল্যাক রাইস ধানগাছ প্রথমে সবুজ থাকলেও পাকার সঙ্গে সঙ্গে কালো হতে শুরু করে। চালের রংও কালো হয়। এ চাল দামি ও পুষ্টিগুণে ভরপুর। ‘ব্ল্যাক রাইস’ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতূহলের কমতি নেই। এমন একটি ধান চাষ করতে পেরে আনন্দের যেন শেষ নেই আলী হাসানের।

সরেজমিনে দেখা যায়, চারপাশে সবুজ ধানক্ষেতের মাঝখানে কালো রঙের ধানের আবাদ। এ ধান দেখতে ভিড় করেছেন এলাকার মানুষ। স্থানীয় লোকজন কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। নেড়েচেড়ে দেখার পর অনেকেই ধানটা কোন দেশের? চাষ পদ্ধতি কী? ফসল তুলতে কত দিন সময় লাগে? চাল কোথায় বিক্রি হয়? রান্নার পর ভাতের কী রং হয়? খুঁটে খুঁটে এমন সব প্রশ্নের জবাব বের করার চেষ্টা করছেন তরা।

কৃষক আলী হাসান জানান, শখের বশে ১০ শতক জমিতে ‘ব্লাক রাইস’ আবাদ করি। পরীক্ষামূলকভাবে কালো রঙের ধানের চাষ করেছি। ভালো ফল পেলে আরও বড় করে আবাদ করার কথা ভাবছি। ব্ল্যাক রাইস চাষাবাদ অন্যান্য আধুনিক ধান চাষের মতোই। এতে কোনো অতিরিক্ত সার বা পানির প্রয়োজন হয় না। প্রয়োজন হয় না আলাদা কোনো পরিচর্যার।’ আশা করছি ফলনও ভালো হবে।

এ বিষয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি অফিসার আদনান বাবু বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে কালো চালের ধানের চাষ হলেও এ উপজেলায় এটাই প্রথম। কৃষক আলী হাসান ১০ শতক জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে এ ধানের আবাদ করছেন। আশা করছি ফলনও ভালো হবে।

দৈনিক বগুড়া