শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সারিয়াকান্দিতে কুমড়োবড়ি তৈরীতে ব্যস্ত নারী কারিগররা

সারিয়াকান্দিতে কুমড়োবড়ি তৈরীতে ব্যস্ত নারী কারিগররা

বগুাড়ার সারিয়াকান্দিতে পৌর এলাকার সাহাপাড়ায় কুমড়ো বড়ি তৈরীতে ব্যস্ত সময় পাড় করছে নারী কারিগররা। গ্রামটির ভোর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত সরগরম হয়ে উঠছে গ্রামের নারীরা। জানা যায়, তারা বংশ পরম্পরায় এই কুমড়ো বড়ি তৈরী করে থাকেন পরিবারের নারী সদস্যরা। নভেম্বর মাস থেকে শুরু হয়ে চলে তা মার্চ পর্যন্ত। এর একমাত্র উপাদান হলো মাসকালাই। চরাঞ্চলে ব্যাপকহারে উৎপাদন ছাড়াও সারিয়াকান্দির বিল এলাকার পতিত জমিতে বিনা চাষে এ কালাই উৎপাদন হয়ে থাকে। হাটবাজার থেকে কালাই সংগ্রহ করার পর ভোর রাত থেকে শুরু হয়ে যায় সন্ধ্যা পর্যন্ত কারিগরদের কর্মযজ্ঞ।

সাহাপাড়ার শংককুড়ি ,মুনজুরী ও গীতা রানী সাথে কথা হলে তারা বলেন, বড়ি তৈরী করে বিক্রি করার পর এখন আর তেমন একটা লাভ থাকেনা। বাজারে কালাইয়ের দাম বেশি। এ ছাড়া হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করতে হয় কুমড়ো বড়ি তৈরী করতে। দিনে একেক জন ৫ থেকে ৬ কেজি মাস কালাইয়ের কুমড়ো বড়ি তৈরী করেন। তৈরী করার পর তা বিক্রি করা হয়। মানের রকমভেদে ৩০০ থেকে শুরু করে ৬০০ টাকা কেজি দরে। এতে একজন কারিগর দিনে ১২০০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করে থাকেন কুমড়ো বড়ি। ৫ মাস চলে এই কুমড়ো বড়ি তৈরী ও বিক্রির কাজ। তাতে ৫ মাসে কম করে হলেও ১১ থেকে ১২ লক্ষ টাকার কুমাড়োবড়ি বিকিকিনি হয়ে থাকে আমাদের পাড়ায়। কেনার পর অনেকেই দেশ বিদেশে স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে থাকেন আমাদের হাতে তৈরী এই কুমাড়োবড়ি। আবহাওয়া ভালো না হলে কুমাড়োবড়ি তৈরীতে ধ্বস নামে। তখন আমাদের ব্যবসায় মন্দভাব দেখা দেয়।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, এ সম্পর্কে আমার ধারনা কম। তবে তারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে সকল ধরনের সহযোগিতা করা হবে। যাতে করে তারা উন্নতমানের কুমাড়ো বড়ি তৈরী করতে পারেন।

দৈনিক বগুড়া