শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

১৪ ডিসেম্বর বগুড়ার শেরপুর হানাদার মুক্ত দিবস

১৪ ডিসেম্বর বগুড়ার শেরপুর হানাদার মুক্ত দিবস

১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালের এই দিনে বগুড়ার শেরপুর উপজেলা হানাদার মুক্ত হয়। সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধারা তিন দিক থেকে আক্রমণ চালিয়ে এই উপজেলা থেকে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের বিতাড়িত করে এই উপজেলাকে হানাদার মুক্ত করেন।

মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৯৭১ সালের ১৪ডিসেম্বর সকাল ৯টার দিকে সারিয়াকান্দি  থেকে মুক্তিযোদ্ধা বাচ্চু মিয়ার নেতৃত্বে সড়ক পথে দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে ও ধুনট থেকে মুক্তিযোদ্ধা আকরাম হোসেন খানের নেতৃত্বে সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল শেরপুর শহরে প্রবেশ করেন। পরে শহরের অবস্থানরত পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের ওপর একযোগে আক্রমন শুরু করেন। 
 
তুমুল যুদ্ধের মধ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা শেরপুর শহরকে পাক হানাদার মুক্ত করেন। আক্রমনের সময় পাক হানাদার ও তাদের দোসররা পৌরশহরের পাশের ঘোলাগাড়ী কলোনী গ্রামে অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে মুহূর্তে দেরি না করে মুক্তিযোদ্ধারা সেখানেও আক্রমন চালান। সময়ের ব্যবধানে মুক্তিযোদ্ধারা ঘোলাগাড়ীসহ পুরো এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন। এসময় ওই এলাকার বেশকিছু স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকাররা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে।
 
পরদিন ১৫ ডিসেম্বর পার্ক মাঠে আমান উল্লাহ খানের নেতৃত্বে (বর্তমানে টাউন ক্লাব পাবলিক লাইব্রেরি মহিলা অনার্স কলেজ) প্রাঙণে স্বাধীনতার বিজয় পতাক উত্তোলন করা হয়। এদিকে দিনটি ঘিরে এবং শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (১৪ডিসেম্বর) বিকেলে শেরপুর প্রেসক্লাবের উদ্যোগে শহরের স্থানীয় বাসষ্ট্যান্ডস্থ সংগঠনের কার্যালয়ে এক আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছে।

দৈনিক বগুড়া