এ যুগে পৃথিবী যখন এগিয়ে যাচ্ছে দুর্বার গতিতে, বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ ডিজিটাল যুগে ভূতপ্রেত বলে কোন কিছুর অস্তিত্ব কল্পনাও করা যায় না। সম্প্রতি একটি ভৌতিক বাড়ির সন্ধান মিলেছে বগুড়ার শেরপুরে। ওই এলাকার জনসাধারণের মাঝে এ নিয়ে কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, শেরপুর-নন্দীগ্রাম আঞ্চলিক সড়ক ধরে কিছদূর এগিয়ে গেলে উপজেলার কুসুম্বি ইউনিয়নের বানিয়া গোন্দাইল গ্রাম। এ গ্রামের শুরুতেই রাস্তার ডানপাশে চোখে পড়ে টিনসেড একটি সেমিপাকা বাড়ি। বাড়িটির দরজা জানালা সম্প্রতি খুলে ফেলা হয়েছে। লোকমুখে এ বাড়িটি স্থানীয় লোকজনের কাছে ভূতের বাড়ি নামে পরিচিত। ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ি এলাকার সিরাজ আকন্দ প্রায় ৬-৭ বছর আগে ৮ কক্ষ বিশিষ্ট এ বাড়িটি নির্মাণ করেন।
বাড়িটি নির্মাণের পর থেকেই সিরাজ আকন্দ পরিবার নিয়ে ওই বাড়িতে বসবাস করা শুরু করেন। কিন্তু ২-৩ দিন থাকার পর রাতে বিছানায় ঘুমাতে গেলে অদৃশ্যভাবে বিছানাসহ খাট উল্টে যায় এবং পানি ঝরতে থাকে। এভাবে কয়দিন দেখার পর ভীত হয়ে তারা বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করায় বর্তমানে এ বাড়িটি পুরোপুরি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। বাড়িটির আশপাশে বসবাসরত লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেশ কিছুদিন যাবৎ ওই বাড়ির ভেতর থেকে অদ্ভুত কিছু শব্দ শোনা যায়, গভীর রাতে ওই পথ দিয়ে চলাচলরত লোকজন প্রায়ই বিভিন্ন পশু দেখতে পায় এবং তা মুহূর্তেই অদৃশ্য হয়ে যায়। এছাড়াও বাড়ির ভেতর এক ঘরের জিনিসপত্র অন্যঘরে কে বা কারা নিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে অনেকেই বলেছেন।
দৈনিক বগুড়া