শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১

ইরি-বোরো চাষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে নন্দীগ্রামের কৃষকরা

ইরি-বোরো চাষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে নন্দীগ্রামের কৃষকরা

সংগৃহীত

বগুড়ার নন্দীগ্রামের কৃষকরা এখন ইরি-বোরো চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। উত্তরাঞ্চল তথা বগুড়া জেলার মধ্য ধান উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত নন্দীগ্রাম উপজেলা।

এই উপজেলায় বছরে তিন বার ধানের পাশাপাশি আলু সরিষা চাষাবাদ হয়। তাই নন্দীগ্রাম উপজেলাকে ‘শস্য ভান্ডার’ হিসেবে গণ্য করা হয়। ইরি-বোরো ধান চাষ লাভজনক তাই কৃষকরা ইরি-বোরো ধান চাষাবাদ শুরু করেছেন। উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার বিভিন্ন মাঠে ইতিমধ্যে ইরি-বোরো ধানের চারা রোপনের কাজ পুরো দমে শুরু হয়ে গেছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে নন্দীগ্রাম উপজেলায় ১৯ হাজার ৮৮৫ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা থেকে ৮৩হাজার ২শ ৬৪ মেট্রিকটন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি প্রণোদনার অংশ হিসেবে বোরো মৌসুম আগেই রবি মৌসুমে ৫১৫০ জন কৃষকের মাঝে সরিষা, ভুট্টা, মুগ,মশুর সহ বিভিন্ন শষ্যের বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে।

উপজেলার রিধইল গ্রামের আব্দুল মান্নান সিংড়া খালাশের মজনু বলেন, সরকারি প্রণোদনার অংশ হিসেবে হাইব্রিড ধানের বীজ ও সার সহায়তা পেয়ে ৩বিঘা জমিতে আগাম চাষ শুরু করেছি। আগাম ধান রোপন করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। ধানে রোগ বালাইও কম থাকে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: গাজীউল হক জানান, বিগত দিনে এই উপজেলায় ইরি-বোরো, আউশ ও আমন ধানে বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকদের মাঝে প্রনদনার সার ও বীজ প্রদান করা হয়েছে। এবারও ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে এমন লক্ষ্য নিয়ে আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করেছি। তাই সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় এবারও ধানের বাম্পার ফলন হবে ইনশাল্লাহ।

সর্বশেষ: