শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১

শেরপুরে ফিলিং স্টেশনে দুই লাখ টাকা জরিমানা; ২ জন আটক

শেরপুরে ফিলিং স্টেশনে দুই লাখ টাকা জরিমানা; ২ জন আটক

সংগৃহীত

বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় দুটি অবৈধ ফিলিং স্টেশনে অভিযান চালিয়ে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার হামিদুল ইসলাম ও আবু নাঈম কে আটক করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুমন জিহাদী।

জানা যায়, উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর বাজার এলাকায় ফাহিম সিএনজি পাম্প ও বিশালপুর ইউনিয়নের রানীরহাট এলাকায় ফারজানা ফিলিং স্টেশনের নাম করে অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। গণমাধ্যম কর্মীরা এমন খবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করলে সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

ফিলিং স্টেশনগুলো লাইসেন্সবিহীন, ঝুকিপূর্ন ও নিয়মতান্ত্রিক না হওয়ায় ২ প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয় এবং ফাহিম সিএনজি পাম্পের ম্যানেজার ভবানীপুর গ্রামের মৃত দবির উদ্দিনের ছেলে হামিদুল ইসলাম ও ফারজানা ফিলিং স্টেশনের কর্মচারী বিশালপুর ইউনিয়নের উদগ্রামের নবির উদ্দিনের ছেলে আবু নাঈম কে আটক করা হয়।

ভ্রাম্যমান আদালতকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম রেজাউল করিম, শেরপুর থানা পুলিশের সদস্য ও ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার নাদির হোসেন সহযোগিতা করেন।

এ প্রসঙ্গে উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার নাদির হোসেন জানান, ওই ফিলিং স্টেশনগুলোতে যখন তখন মারাত্মক বিষ্ফোরণ হতে পারে।

এ ব্যাপারে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুমন জিহাদী বলেন, ভবানীপুর এলাকায় ফাহিম ফিলিং স্টেশন লাইসেন্স বিহীন ভাবে ট্রাকের কেবিনে সিরিজ সিএনজি ট্যাংক স্থাপন করে ব্যবসা করে আসছিল যা অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ। সেখানে প্রস্তাবিত ম্যাপ ও টেকনিক্যাল রিকয়ারমেন্টের সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই। নেই কোন টেকনিশিয়ান। একইভাবে রানীরহাট এলাকায় লাইসেন্সবিহীন ভাবে ঝুকিপূর্ণভাবে পরিচালিত হয়ে আসছিল ফারজানা ফিলিং স্টেশন। এ সময় সহকারী কমিশনার ভূমি এসএম রেজাউল করিম ফিলিং স্টেশনের অফিস রুমে গিয়ে দেখেন একই রুমে জেনারেটর, দশটি সিএনজি সিলিন্ডার, পুরো অফিসের সকল বৈদ্যুতিক তারের হাব ও চেঞ্জ ওভার। এ সময় ফায়ার সেফটি মেজার সহ বিষ্ফোরক অধিদপ্তর বা এনার্জি রেগুলেটিং অথোরিটি বা পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন সহ পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন কাগজই তারা উপস্থাপন করতে পারেনি। এই সকল অপরাধে দুই প্রতিষ্ঠান কে ১ লাখ টাকা করে মোট ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এবং দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এমনকি বৈধ কাগজপত্র না হওয়া পর্যন্ত পাম্পগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরো জানান, ঢাকা বেইলি রোডের ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। এ ধরণের মর্মান্তিক ঘটনা আর যেন না ঘটে সে উদ্দেশ্যে সবাই মিলে এক সাথে কাজ করতে হবে। এ সময় গণমাধ্যম কর্মীদের ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, সাংবাদিকদের কারণেই ঝুকিপূর্ণভাবে পরিচালিত এ সকল পাম্পের খবর আমরা পাই ও ব্যবস্থা নিতে পারি।

সর্বশেষ: