সংগৃহীত
নামাজ বা নামায (ফার্সি: نماز) বা সালাত বা সালাহ (আরবি: صلاة) ইসলাম ধর্মের ৫টি রোকনের মধ্যে ২য় রোকন। প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক ও বুদ্ধি-জ্ঞান সম্পন্ন, নারী পুরুষ নির্বিশেষে, প্রতিটি মুসলিমের জন্য দৈনন্দিন ফরজ বা অবশ্যকরণীয় একটি ধর্মীয় কাজ।
মুসলিম উম্মাহর জন্য দৈনন্দিন ৫ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের মধ্যে অন্যতম হলো জোহরের নামাজ। দ্বিপ্রহরে সূর্য হেলে পড়ার পর থেকে এই নামাজের সময় শুরু হয়। মেরাজের সময় মহান আল্লাহ মুসলমানদের জন্য ৫ ওয়াক্ত নামাজ ফজর করেন। মেরাজ থেকে ফিরে মহানবী (সা.) সর্বপ্রথম জোহরের নামাজ আদায় করেন।
পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন স্থানে জোহরের নামাজ ও এর সময়ের ব্যাপারে আলোচনা রয়েছে। মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা বলেন,
فَسُبْحَانَ اللَّهِ حِينَ تُمْسُونَ وَحِينَ تُصْبِحُونَ
অর্থ: ‘অতএব, তোমরা আল্লাহর পবিত্রতা স্মরণ কর সন্ধ্যায় ও সকালে’। (সূরা: রুম, আয়াত: ১৭) আর এরই পরের আয়াতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন,
وَلَهُ الْحَمْدُ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَعَشِيًّا وَحِينَ تُظْهِرُونَ
অর্থ: ‘এবং অপরাহ্ণে ও মধ্যাহ্ণে। নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে তো সব প্রশংসা তারই’। (সূরা: রুম, আয়াত: ১৮)
অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন,
أَقِمِ الصَّلَاةَ لِدُلُوكِ الشَّمْسِ إِلَىٰ غَسَقِ اللَّيْلِ
অর্থ: ‘সূর্য হেলে পড়ার পর থেকে রাতের ঘন আঁধার পর্যন্ত সালাত কায়েম করুন...’। (সূরা: ইসরা, আয়াত: ৭৮)
দুপুর কর্মব্যস্ততার, মধ্যাহ্নভোজ ও বিশ্রামের সময়। তাই বলে এই নামাজে অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই। তবে জোহরের সময় শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নামাজ আদায় করা জরুরি নয়। আসরের আগপর্যন্ত জোহরের নামাজ পড়ার সুযোগ থাকে। শীতকালে আগে আগে পড়া উত্তম হলেও গ্রীষ্মকালে জোহরের নামাজ একটু দেরিতে পড়া উত্তম।
মহানবী (সা.) বলেন, ‘যখন গরম বেড়ে যায় তখন তা কমে এলে জোহরের নামাজ আদায় করো। কেননা, গরমের প্রচণ্ডতা জাহান্নামের উত্তাপের অংশ’। (বুখারি)
উল্লেখ্য, জোহরের ফরজ নামাজের আগে-পরের সুন্নত নামাজও গুরুত্বের সঙ্গে আদায় করা চাই।
মহানবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওযাসাল্লাম আরো বলেন, ‘যে ব্যক্তি জোহরের ফরজের আগে ৪ রাকাত ও পরে ২ রাকাত সুন্নত আদায় করে, তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করা হবে’। (তিরমিজি)
সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ