
সংগৃহীত
জান্নাতিদের আল্লাহ তায়ালা অফুরন্ত সুখ, শান্তি এবং অসংখ্য নেয়ামত দান করবেন। নেয়ামতগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো তুবা নামক একটি বৃক্ষ। এই বৃক্ষের প্রশান্তিদায়ক ছায়া এতোটাই দীর্ঘ হবে যে, কোনো আরোহী এর ছায়াতলে শত বছর ধরে চলতে থাকলেও তা অতিক্রম করে শেষ করত পারবে না।
পবিত্র কোরআনে এই বিশেষ নেয়ামত সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন—
যারা (আল্লাহর ওপর) বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, তাদের জন্য আছে তুবা (জান্নাতের বৃক্ষবিশেষ)। আর শুভ পরিণাম তাদেরই।’ (সুরা রদ, আয়াত : ২৯)
ইবনে আব্বাস (রা.)-এর মতে আয়াতে বর্ণিত, তুবা অর্থ আনন্দ ও চোখের শীতলতা। ইবরাহিম নাখঈ (রহ.) বলেন, তুবা অর্থ তাদের জন্য কল্যাণ। ইবনে জারির তাবারি (রহ.) শাহর ইবনে হাওশাব (রহ.) থেকে বর্ণনা করেন, তুবা হলো জান্নাতের একটি বৃক্ষ।
জান্নাতের তুবা নামক সেই বৃক্ষ সম্পর্কে একবার রাসুল (সা.) হজরত আবু বকর (রা.)-কে বললেন, তুমি কি জানো ‘তুবা’ কি? আবু বকর (রা.) বললেন, আল্লাহ ও তার রাসুলই ভালো জানেন। রাসুল (সা.) বললেন, তুবা হচ্ছে জান্নাতের একটি সুদীর্ঘ বৃক্ষ। যার পরিমাপ সম্পর্কে শুধু আল্লাহ তায়ালাই জানেন। ওই বৃক্ষটির একটি শাখার নিচ দিয়ে সত্তর বছর ধরে এক অশ্বারোহী তার অশ্ব পরিচালনার পরেও সীমানা খুঁজে পাবে না।
আরেক হাদিসে হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, জান্নাতে এমন একটি গাছ আছে, কোনো আরোহী যার ছায়াতলে শত বছর ধরে চলতে থাকলেও তা অতিক্রম করতে পারবে না।
(তিরমিজি, হাদিস : ৩২৯৩)
আল্লাহর কাছে বেশি বেশি তওবা ও ক্ষমাপ্রার্থনাকারী ব্যক্তির জন্য এই বিশেষ নেয়ামত নির্ধারণ করা হয়েছে। আবদুল্লাহ বিন বুসর (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি তার আমলনামায় বেশি পরিমাণ ক্ষমা প্রার্থনা যোগ করতে পেরেছে, তার জন্য তুবা (জান্নাতের বৃক্ষ, সুসংবাদ, আনন্দ)। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৮১৮)
সূত্র: ঢাকা পোষ্ট