
সংগৃহীত
যে ব্যক্তি একটি ভালো বা সৎকাজ করবে,তাকে দশগুণ প্রতিদান দেওয়া হবে। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি একটি গুনাহ করবে, তাকে শুধু একটি গুনাহের সমান বদলা দেওয়া হবে। হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন—
তোমাদের প্রতিপালক অত্যন্ত দয়ালু। যে ব্যক্তি কোন সৎকাজের শুধু ইচ্ছা করে, তার জন্য একটি নেকি লেখা হয়- ইচ্ছাকে কার্যে পরিণত করুক বা না করুক। এরপর যখন সে সৎকাজটি সম্পাদন করে, তখন তার আমলনামায় দশটি নেকি লেখা হয়।
পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি কোনো পাপ কাজের ইচ্ছা করে, অতঃপর তা কার্যে পরিণত না করে, তার আমলনামায়ও একটি নেকি লেখা হয়। অতঃপর যদি সে ইচ্ছাকে কার্যে পরিণত করে, তবে একটি গুনাহ লেখা হয়। কিংবা একেও মিটিয়ে দেয়া হয়। এমন দয়া ও অনুকম্পা সত্বেও আল্লাহর দরবারে ওই ব্যক্তিই ধ্বংস হতে পারে, যে ধ্বংস হতেই দৃঢসংকল্প। (বুখারি, হাদিস : ৬৪৯১; মুসলিম, হাদিস : ১৩১)
অপর হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি একটি সৎকাজ করে, সে দশটি সৎকাজের সওয়াব পায় বরং আরও বেশি পায়। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি একটি গুনাহ করে সে তার শাস্তি এক গুনাহর সমপরিমাণ পায় কিংবা তাও আমি মাফ করে দেব।
যে ব্যক্তি পৃথিবী ভর্তি গুনাহ করার পর আমার কাছে এসে ক্ষমা প্রার্থনা করে, আমি তার সাথে ততটুকুই ক্ষমার ব্যবহার করব। যে ব্যক্তি আমার দিকে অর্ধহাত অগ্রসর হয়, আমি তার দিকে এক হাত অগ্রসর হই এবং যে ব্যক্তি আমার দিকে একহাত অগ্রসর হয়, আমি তার দিকে বা (অর্থাৎ দুই বাহু প্রসারিত) পরিমাণ অগ্রসর হই। যে ব্যক্তি আমার দিকে লাফিয়ে আসে, আমি তার দিকে দৌড়ে যাই। (মুসনাদে আহমাদ : ৫/১৫৩)
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন— কেউ কোন সৎকাজ করলে সে তার দশ গুণ প্রতিদান পাবে। আর কেউ কোন অসৎ কাজ করলে তাকে শুধু তার সমপরিমাণ প্রতিফলই দেওয়া হবে এবং তাদের প্রতি জুলুম করা হবে না।(সুরা আনআম, আয়াত : ১৬০)
সূত্র: ঢাকা পোষ্ট