রোববার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২

ইসলামী জীবন

কোরআনের আলোকে হতাশা থেকে মুক্তির উপায়

কোরআনের আলোকে হতাশা থেকে মুক্তির উপায়

সংগৃহীত

জীবনকে আমরা যতই সুন্দর ভাবি না কেন, বাস্তবতা ভিন্ন। জীবনে চলার পথে হোঁচট খেতে হয়—কষ্ট, বিপদ, নিঃসঙ্গতার মুখোমুখি হতে হয় অনেক সময়। জীবনের কোনো পর্যায়ে মনে হয় আমি যেন  অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছি। অন্ধকার এতো গভীর যে আর আলো দেখা যায় না। চেষ্টা করছেন উপরে উঠতে, কিছুটা নিঃশ্বাস নিতে। কিন্তু ক্লান্তি গ্রাস করে। মনে হয় যেন হাত-পা কাজ করা বন্ধ করে দিচ্ছে। নিজেকে একা, কোনো বৃত্তের ভেতর বন্দী ও অসহায় মনে হয়। এমন অনুভূতিই মূলত হতাশা।

হতাশার কারণ কী?

সাধারণত কোনো বিষয় বা ঘটনাকে কেন্দ্র করেই হতাশা দেখা দেয়। কিন্তু কখনো কখনো কোনো কারণ ছাড়াও হতাশা ঘিরে ধরে। মানসিক ও শারীরিকভাবে মানুষকে ভেঙে দেয়। মনে রাখতে হবে— হতাশা ও দুঃখ এক নয়। দুঃখ অস্থায়ী, কিন্তু হতাশা দীর্ঘস্থায়ী এবং বাস্তব। তবে হতাশা থেকে মু্ক্ত হওয়া সম্ভব। 

কোরআনের মাধ্যমে হতাশা থেকে মুক্ত হওয়ার উপায় খুঁজতে পারেন মুমিন ব্যক্তিরা।

বেশি বেশি তিলাওয়াত 

মনোবিজ্ঞান বলছে, আল্লাহর সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এই সম্পর্ক হতে হবে পূর্ণ আস্থার ওপর—আল্লাহর পরিকল্পনা ও ইচ্ছার প্রতি নির্ভরশীল। মনে রাখতে হবে, আল্লাহ কখনো বান্দাকে পরিত্যাগ করেন না। এই বিশ্বাস রাখতে হবে, তাহলে আল্লাহই যথেষ্ট হয়ে যাবেন।

যদি মনে হয় হতাশায় ডুবে যাচ্ছেন, তাহলে কোরআনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ুন। বেশি বেশি তিলাওয়াত করুন।

হতাশা ও উদ্বেগের বড় কারণ হলো অজানা ভবিষ্যতের ভয়। জীবনের নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে নেই, এমন ধারণা থেকেই অস্থিরতা বাড়ে। তবে কোরআন একজন মুসলিমকে মনে করিয়ে দেয়—সবকিছু আল্লাহর হাতে। তিনি আমাদের জন্য সঠিক পরিকল্পনা করেছেন।

সব কিছু আল্লাহর নিয়ন্ত্রণে, তিনি সব কিছু দেখছেন—এমন ধারণাই একজন মুমিনকে হতাশা থেকে মুক্তি দিতে পারে।

দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী

কোরআন একজন মুমিনকে শেখায়—এই দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী। এটি পরীক্ষার ময়দান। এখানে কষ্ট আছে, হারানোর বেদনা আছে। আল্লাহ যাদের ভালোবাসেন, তাদের পরীক্ষা নেন। কখনো এসব কষ্ট পাপ মোচনের উপায় হয়। কখনো মর্যাদা বাড়ায়। যে মুমিন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ধৈর্য ধরে, তার জন্য আছে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি।

প্রশান্তির পথ

কোরআন তিলাওয়াত অন্তরে শান্তি আনে। আমরা ভুলে যাওয়া নেয়ামতগুলো মনে করি। আল্লাহর রহমতের আশায় নতুন করে বুক বাঁধি। 

কেন বিপদ আসে?

এই দুনিয়ার সব পরীক্ষা আমাদের আল্লাহর দিকে ফেরানোর জন্য। তিনি চান আমরা তার কাছে শান্তি খুঁজি। তার ওপর নির্ভর করি। বিপদে পড়লে তার কাছেই সাহায্য চাই। আল্লাহ চান আমরা তাকে স্মরণ করি, দুনিয়ার দৌড়ঝাঁপে হারিয়ে না যাই। 

সূত্র: ঢাকা পোষ্ট