শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আশ্রয়ণ প্রকল্পে হাসি ফুটেছে শিবগঞ্জের ১৮০ পরিবারের

আশ্রয়ণ প্রকল্পে হাসি ফুটেছে শিবগঞ্জের ১৮০ পরিবারের

বগুড়ার শিবগঞ্জে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর ও জমি পেয়ে হাসি ফুটেছে ১৮০ টি দরিদ্র পরিবারের মুখে। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে তৈরি করে দেওয়া হয়েছে দুইটি বেডরুম, ১ টি টয়লেট ও ১ টি রান্না ঘর। মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়ে দরিদ্র পরিবারগুলো এখন আনন্দে আত্মহারা। 

বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্বামী আইজারকে নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করেন উপজেলার ময়দানহাট্টা ইউনিয়নের কুফা গ্রামের ফেমেলি বেগম(৩৬)। যায়গা জমির অভাবে মাথা গোজার ঠাঁই টুকুও ছিলোনা তার। পাগল স্বামীকে নিয়ে দরিদ্র বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে থাকতেন তিনি। এখন প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত আশ্রায়ণ প্রকল্পের ঘর পেয়ে খুব খুশি ফেমিলি বেগম। বললেন, আমরা কল্পনাও করিনি কখনো পাকা বাড়ি ঘরে থাকতে পারবো!

চলতি মাসের ১১ তারিখে শিবগঞ্জের আশ্রায়ণ প্রকল্পের ঘর পরিদর্শনে আসেন জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক। এসময় তিনি গণ মাধ্যমকে জানান,অতি শীঘ্রই উদ্বোধন করা হবে ঘর গুলো। স্থায়ীভাবে মাথা গোঁজার ঠাঁই পাবে দরিদ্র এসব মানুষ।       

সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেয়েছেন উপজেলার কুফা গ্রামের মিস্টার আলী (২০)। দিমজুরের কাজ করে কোন রকম পেটের ভাত যোগাতে পারলেও মাথা গোজার জন্য তিল পরিমান যায়গা নাই তার। অবশেষে "মেঘ না চাইতেই জল"।  সরকারের আশ্রয়ন প্রকল্পের উপকার ভোগীদের তালিকায় তার ঠাঁই হওয়ায় আনন্দে আত্মহারা সে। 

একই এলাকার আশ্রায়ণ প্রকল্পের ঘর পাওয়া   বৃদ্ধ জয়নাল (৭০) মিয়া জানান, আমার থাকার মতো কোন জমিজমা নাই। ইটের বাড়িতে সন্তানদের নিয়ে থাকতে পারাটা আমার কাছে স্বপ্নের।

ঘর নির্মানের মান কেমন ছিলো এমন প্রশ্নে স্থানীয়রা জানিয়েছেন,এক নম্বর ইট ও পরিমান মতো উপকরণ দিয়েই তৈরী করা হয়েছে এসব ঘর।

প্রকল্পে সুবিধা ভোগীদের তালিকায় নাম লেখাতে ঘুস দিতে হয়েছে কি'না এমন প্রশ্নে ফেমিলি,মিস্টার ও জয়নালরা জানান, একটি পয়সাও ঘুস দিতে হয়নি কাউকে।

মঙ্গলবার এ বিষয়ে কথা হয় শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর কবিরের সাথে। তিনি দৈনিক উত্তরের দর্পণ কে বলেন, শিবগঞ্জে ১৮০ টি পরিবারকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘর দিচ্ছেন। প্রতি পরিবারের জন্য ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা নির্মান ব্যয় ধরে  দুটি বেডরুম,একটি রান্না ঘর ও একটি টয়লেট নির্মান করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, উপকার ভোগীদের নামে ২ শতক করে জমি কবুলিয়াত রেজিস্ট্রি করে দেয়া হবে। যার ফলে তারা ঘর ও জমির স্থায়ী মালিকানা পেয়ে যাবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২৩ জানুয়ারি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঘর গুলোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।

দৈনিক বগুড়া