শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জাপানের উদ্ভাবিত লবণ সহিষ্ণু ধানে উপকৃত হবে বাংলাদেশ

জাপানের উদ্ভাবিত লবণ সহিষ্ণু ধানে উপকৃত হবে বাংলাদেশ

জাপানের জাতীয় কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এনএআরও-এর বিজ্ঞানীরা একটি নতুন জাতের লবণ সহিষ্ণু ধান উদ্ভাবন করেছেন। নতুর জাতের এ ধান উদ্ভাবনের ফলে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রবণ অঞ্চলে কৃষকরা উপকৃত হবে বলে জানানো হয়েছে।

এনএআরও’র বরাত দিয়ে গত রোববার টোকিওর প্রভাবশালী সংবাদ সংস্থা কিয়োডো নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জাপানের বিজ্ঞানীরা এমন এক জিন খুঁজে পেয়েছেন যা মূল বৃদ্ধির ‘অ্যাঙ্গেল’ নির্ধারণে ভূমিকা রাখে। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের এই দিনগুলোতে এই আবিষ্কার আরো নতুন জাতের সন্ধান দেবে বলে আশা প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞানীদের।

গবেষক দলটির উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ২০৫০ সাল নাগাদ জাপানের উপকূলীয় এলাকাসহ পৃথিবীর কয়েকটি দেশের অর্ধেকের বেশি আবাদি জমি লবণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে এখনই ধানের উৎপাদন অনেকাংশে কমে গেছে।

সংস্থাটির প্রধান বিজ্ঞানী ইউসাকু উগা বলেন, ধান গাছের শিকড় জমির অবস্থা অনুযায়ী কীভাবে বেড়ে উঠবে তা এই জিনের মাধ্যমে নকশা করা সম্ভব। লবণাক্ত জমিতে এর ফলন কয়েক গুণ বাড়বে। অন্য জমিতেও সাধারণ ধানের মতো ফলন দেবে। এই জিনটি পাওয়া গেছে ইন্দোনেশিয়ার এক প্রকার ধানে, যার শিকড়গুলো স্থল পৃষ্ঠের বরাবর বেড়ে ওঠে।

দৈনিক বগুড়া