শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জাল টাকার কারবার বন্ধে বিশেষ আইনে মামলা করবে পুলিশ

জাল টাকার কারবার বন্ধে বিশেষ আইনে মামলা করবে পুলিশ

দীর্ঘ ৫/৬ বছর ধরে পরস্পর যোগসাজশে জাল নোটের কারবার করছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। কারখানা স্থাপন করে তৈরি ঈদ, দুর্গাপূজার মতো বড় উৎসবকে টার্গেট করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাদের সহযোগীদের মাধ্যমে জাল টাকা সরবরাহ এবং বিক্রয় করত তারা। তবে বারবার গ্রেফতার হলেও বেরিয়ে একই পেশায় জড়িয়েছে চক্রের সদস্যরা।

তাই জাল টাকা তৈরি, কারবার বন্ধ এবং চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে এবার বিশেষ আইনে মামলার কথা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

৬০ লাখ জাল টাকা, ১১৩টি জাল ডলার ও জাল টাকা তৈরির সরঞ্জামসহ চক্রের মাস্টারমাইন্ড কাজি মাসুদ পারভেজসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।

অভিযানে তাদের কাছ থেকে জাল নোট তৈরির সরঞ্জাম হিসেবে একটি ল্যাপটপ, দুটি স্ক্যানার, একটি লেমিনেটর, দুটি প্রিন্টার, ১২টি ট্রেসিং প্লেট, ৫ রিম জাল টাকা ছাপানোর কাগজ জব্দ করা হয়।

শনিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান।

হাফিজ আক্তার বলেন, চলতি মাসে আমরা তিনটি জাল টাকা তৈরির চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান করেছি। তাদের দেয়া তথ্যমতে গত ২৩ অক্টোবর রাজধানীর কোতোয়ালী, আদাবর থানাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ৫৮ লাখ ৭০ হাজার জাল টাকা, ১১৩টি জাল ডলার ও জাল নোট তৈরির সরঞ্জামাদিসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি বলেন, এই পুরো চক্রের মাস্টারমাইন্ড কাজি মাসুদ পারভেজ। মাসুদ পারভেজ ছাড়াও এ চক্রের মোহাম্মদ মামুন, শিমু, রুহুল আলম, সোহেল রানা, নাজমুল হককে গ্রেফতার করা হয়।

ডিবি প্রধান বলেন, এই চক্রের মাস্টারমাইন্ড কাজী মাসুদ পারভেজের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সে এর আগেও গ্রেফতার হয়েছে। বারবার গ্রেফতার হয়ে বের হয়ে এসেছে। তাই এবার আমরা তার বিরুদ্ধে স্পেশাল অ্যাক্টে মামলা করব। যেন সে সহজে বের হয়ে না আসতে পারে।

হাফিজ আক্তার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা জানায়, তারা দীর্ঘ ৫-৬ বছর ধরে পরস্পর যোগসাজশে জাল নোট প্রস্তুত করে খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করছে। তারা বড় কোনো উৎসব দুর্গাপূজা ইত্যাদি অনুষ্ঠানকে টার্গেট করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাদের সহযোগিতার মাধ্যমে জাল টাকা সরবরাহ করে এবং বিক্রি করে।

এ ডিবি কর্মকর্তা জানান, এক লাখ টাকার জাল নোট তারা ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে।

দৈনিক বগুড়া