শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

তমাল গাছের উপকারিতা

তমাল গাছের উপকারিতা

তমাল একটি চিরসবুজ মধ্যমাকারের বৃক্ষ । এদের আদি নিবাস দক্ষিণ পূর্ব্ এশিয়া । এই বৃক্ষ বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে দেখতে পাওয়া যায় । এদের বাকলের রঙ ধূসর। বাকলের পুরুত্ব ১/৪ ইঞ্চি । এর কাঠের রঙ প্রায় সাদা ।

এই গাছ থেকে নির্গত হয় আঠা । এর পাতার রঙ গাঢ় সবুজ এবং উজ্জ্বল, আকারে বড় । এর পাতার দৈঘ্য ৮-১৪ ইঞ্চি লম্বা এবং এর পাতাগুলো অবনত অবস্থায় থাকে । পাতার বোটা এক ইঞ্চি লম্বা, পাতার শিরা সমান্তরাল থাকে । এই গাছের ফুল ধরে বসন্তকালে ।

এর ফুলের রঙ সাদা এবং পাপড়ি পুরু ও খসখসে । পাপড়িগুলো এক থেকে তিন ইঞ্চি লম্বা হয় । এর ফলগুলো গোলাকার হয় , ফলের রঙ গাঢ় পীতবর্ণ্ । এর বীজগুলো কাঁঠালের বিচির মতো লম্বাটে । প্রতিটি ফলে এক থেকে চারটি বীজ থাকে । গ্রীষ্মকালে ফল পাকে । এই গাছের বিভিন্ন ধরণের ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে । এখন আমরা তমাল এর গুণাগুণ সম্পর্কে জানব।

উপকারিতা

তমাল এর কটি ডাল পানিতে পেষণ করে ফোঁড়ায় লাগালে উপশম হয় ।

তমাল এর ফল স্কার্ভির রোগের জন্য বিশেষ উপকারি ।

পা ফাটা নিরাময়ের জন্য আমশূল ব্যবহার করা হয় ।

তমাল এর আমশূল পানির সাথে মিশিয়ে খেলে আমাশয় ভালো হয় ।

তমাল ফলের রস করে নিতে হবে । এরপর এটি পানি ও মিছরি মিশিয়ে পান করলে জ্বর ভালো হয়ে যায় ।

প্রথমে তমালের কচি পাতা কলাপাতায় জড়িয়ে তার ওপর মাটির প্রলেপ দিয়ে রাখতে হবে। এরপর এটা আগুণে সেকে নিতে হবে । এবার সেই ঝলসানো পাতার রস খেলে আমাশয় উপকার পাওয়া যায় ।

খাবারে অরুচি ভাব দেখা দিলে তমালের পাকা ফল খেলে খাবারের অরুচি ভাব দূর হয়ে যায় ।

দৈনিক বগুড়া