বগুড়ার শেরপুরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আন্তঃজেলা সংঘবদ্ধ চোরদলের পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। পরে তাদের দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী দুইটি চুরির ঘটনায় তিনটি ল্যাপটপ, তিনটি মোবাইল ফোন, একটি গ্যাস সিলিন্ডার, একটি গ্যাসের চুলা ও একটি সিস্টেম ইউনিট উদ্ধার হয়।
বুধবার রাত থেকে শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ওই উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর সার্কেল) গাজিউর রহমান, শেরপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম আবুল কালাম আজাদ।
চোর চক্রের ওই পাঁচ সদস্য হলো-বগুড়া পৌরশহরের বৃন্দাবনপাড়া এলাকার মুনছের আলীর ছেলে জীবন (২৯), রামচন্দ্রপুরপাড়ার মৃত লাল খানের ছেলে মোসাদ্দেক হোসেন মক্কা (৩৫), উত্তরসাহাপাড়া এলাকার দিলীপ চন্দ্র মোহন্তের ছেলে মদন চন্দ্র মোহন্ত (৩০), উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের রণবীরবালা গ্রামের জহুরুল ইসলাম মিলনের ছেলে রাজু আহমেদ (৩০) ও সীমাবাড়ী ইউনিয়নের ধনকুণ্ডি জমিদারপাড়া গ্রামের মৃত আবুল কালাম আজাদের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন শিমুল (৪০)।
শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম আবুল কালাম আজাদ জানান, সম্প্রতি পৌরশহরের শান্তিনগরস্থ সাপ্তাহিক আজকের শেরপুর পত্রিকা কার্যালয়ে এবং শহরের খন্দকারপাড়ার এ্যাডভান্স স্কুল এন্ড কলেজের অফিস কক্ষে চুরির ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হয়।
এদিকে গত বুধবার দিনগত রাতে শহরের কলেজরোড এলাকায় সংঘবদ্ধ তিনচোরকে আটক করে এলাকাবাসী। আর এই খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে চোরদের সোপর্দ করা হয়। পরে থানায় এনে তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর ওইসব চুরির ঘটনার কথা স্বীকার করেন। সেই সঙ্গে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে চুরি যাওয়া মালামালগুলো উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, আটক হওয়া ব্যক্তিরা সবাই আন্তঃজেলা সংঘবদ্ধ চোরদলের সক্রিয় সদস্য। আর সম্প্রতি ওইসব চুরির ঘটনায় তাদের সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তিরা জড়িত থাকতে পারে। তাই আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। এজন্য সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে বৃহস্পতিবার বিকালের দিকে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
দৈনিক বগুড়া
