শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিলিম্বি ফলের ভেষজগুণ

বিলিম্বি ফলের ভেষজগুণ

বিলিম্বি  ফলের সাথে বা এই নামের সাথে অনেকেই পরিচিতনয় । স্থানভেদে এ নামের ভিন্নতা আছে । যেমন সিলেটে এটাকে বলা হয় বেলেম্বে । বেলেম্বে গাছ দেখেতে অনেকটা লেবু গাছের মত । কামরাঙ্গা পরিবারের এ গাছের পাতা, ফুল ও ফল দেখতে খুবই সুন্দর । গাছে নতুন পাতা গজালে সে পাতাকেও আবার ফুলের মত মনে হয় । গাছ প্রায় একই রকম তবে ফল আকারে লম্বা ২/৩ ইঞ্চি । এর রঙ দেখতে সবুজ ।

দেখতে আঙুরের মত হলে সুন্দর । এ ফলটি কাঁচা অবস্থায় খুব টক হলেও রান্নার পর বা চাটনি কিংবা আচার তৈরী করার পর টক থাকেনা । পুষ্টিমানে আমিষ, শ্বেতসার , চর্বি, খনিজ, ভিটামিন, কারোটিন, ক্যালোরি, সবই আছে । শীতকালে বিলিম্বিগাছের পাতা ঝরে পড়ে । বস্তনের আগমনে আবার নতুন কুড়ি ও পাতা গজাতে থাকে । বিলিম্বি দেশের বিভিন্ন জেলায় পাওয়া যায় । এই গাছ চট্টগ্রাম অঞ্চলে এর ফলন বেশি হয়ে থাকে । এই গাছ বাংলাদেশ সহ ইন্দোনেশিয়া , ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার ও দক্ষিণ এশিয়ায় জন্মে । বিলিম্বি গাছের সবকিছুই ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয় ।

এখন আমরা বিলিম্বি গাছের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেব ।

পুষ্টিগুণ :

১০০ গ্রাম বিলিম্বিতে রয়েছে আর্দ্রতা ৯৪.২-৯৪.৭ গ্রাম, আমিষ ০.৬১ গ্রাম, Ash ০.৩১- ০.৪০ গ্রাম, তন্তু ০.৬ গ্রাম, ফসফরাস ১১.১ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩.৪ মিলিগ্রাম, লৌহ ১.০১ মিলি গ্রাম, থায়ামিন ০.০১০ মিলিগ্রাম, রিবোফ্লাভিন ০.০২৬ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ০.০৩৫ মিলিগ্রাম, Ascorbic Acid ১৫.৫ মিলিগ্রাম, Niacin ০.৩০২ মিলিগ্রাম।

উপকারিতা 

সর্দি কাশি নিরাময়ে :

প্রথমে বিলিম্বি ফুল সংগ্রহ করে নিতে হবে । এবার গরম পানির সাথে এটিকে জ্বাল দিতে হবে । এই পানি নিয়মিত সেবন করলে সেটা ভালো হয়ে যায় ।

উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে :

বিলিম্বি গাছের ফল প্রতিনিয়ত খেলে উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে  ।

বিষাক্ত পোকামাকড় কামড়ালে :

বিলিম্বির পাতা বিষধর প্রাণীর কামড় থেকে নিরাময়ের জন্য ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায় ।

চুলকানি নিরাময়ে :

প্রথমে বিলিম্বির পাতা বেটে নিতে হবে । এরপর এটা গায়ে লাগালে চুলকানিতে নিরাময় হয়ে থাকে ।

বিভিন্ন পত্রপত্রিকাতে বর্তমানে এই বিলিম্বির নিয়ে প্রচুর লেখালেখি হচ্ছে।

দৈনিক বগুড়া