শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মহাস্থান বাজারে পর্যাপ্ত আমদানি হওয়ায় কমেছে সবজির দাম

মহাস্থান বাজারে পর্যাপ্ত আমদানি হওয়ায় কমেছে সবজির দাম

লাফিয়ে লাফিয়ে কমতে শুরু করেছে মৌসুমি শীতের সবজি। সপ্তাহর ব্যবধানে সবজির ব্যাপক দরপতন হয়েছে। আজ একদাম তো কাল আরেক দাম।

এমন চিত্র দেখা গেছে উত্তরবঙ্গের বিখ্যাত সবজির ভান্ডার হিসেবে খ্যাত বগুড়ার ঐতিহাসিক মহাস্থানহাট। বৃহস্পতিবার (২৬নভেম্বর) সকালে মহাস্থান সবজির হাটে প্রবেশ করে দেখা যায়, আশেপাশের এলাকার সবজিতে বাজারে পর্যাপ্ত আমদানি।

সকালে একটু দাম বেশি হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে দাম আরও নিম্মমুখী। এ যেন ভেলকিবাজির খেলা। হঠাৎ এ দরপতনে চাষীরা হতাশাগ্রস্ত।

বাজারে আগত একাধিক সবজি বিক্রেতা চাষীদের সাথে হঠাৎ সবজির দরপতনের কথা জানতে চাইলে তারা বলেন, উত্তরবঙ্গের সবজি উৎপাদনের ক্ষেত্রে বগুড়া জেলা শীর্ষে। এবার বর্ষায় টানা ৪ বার ফসলের ক্ষতি হয়েছে। সেই ক্ষতি এখনো আমরা পুষে নিতে পারিনি।

বর্ষাকাল কেটে আবার জমি পরিচর্যা করে শীতের সবজি উৎপাদন করেছি। শীতে আগাম সবজিতে দাম ভাল পেয়েছি। কিন্তু তখন তেমন ফসলের জোয়ার আনতে পারিনি। শীত শুরুতে এবার বাম্পার ফলন হলেও দাম কমতে থাকায়, তাদের মুখে হাসি নেই বলে তারা জানিয়েছেন। বহুকষ্টে উৎপাদিত ফসলের হঠাৎ দরপতনে তারা এখন দিশেহারা।

কারন অনুসন্ধানে জানা গেছে, চাহিদার চেয়ে আমদানি-ই বেশি। বাইরের বড়বড় পাইকাররা তাদের যেটুকু কাঁচামাল লাগবে তারা সেটুকু-ই সরবরাহ করছে। আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় চাষীরা হতাশাগ্রস্থ হয়ে কেউ কেউ নামে মাত্র দামেও বিক্রি করছে।

মহাস্থান সবজিহাট ঘুরে আজকের চলাচল বাজার সবজির মূল্য জানা যায়, সপ্তাহ খানেক আগেও যে ফুল কপি ছিল, ১২০০থেকে ১৪০০টাকা মণ, এখন তার দাম দাড়িছে ৭০০থেকে ৮০০টাকা মণ। যে মুলার দাম ছিল, ৮০০ থেকে হাজার টাকা মণ সেই মুলা এখন ২০০টাকা মণ। বাজারে অন্যান্য সবজির একই ভাবে দরপতন দেখা গেছে। হঠাৎ বাজারে দরপতনের কারণে অনেক কৃষকের চোখে মুখে হতাশার ছাপ দেখা গেছে।

এ ব্যাপারে সবজি চাষী শিবগঞ্জ উপজেলার টেপাগাড়ী গ্রামের ফজলুর রহমান অভিন্ন সুরে বলেন, আমাদের এলাকার সবজির দেশের বিভিন্ন বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে বাজার দর হঠাৎ বাড়ছে আবার কমছে।  এটি দুরের পাইকারদের কারসাজি বলে তিনি মনে করছেন।

দৈনিক বগুড়া