শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শীঘ্রই শুরু হচ্ছে বাঙালী নদীর খনন প্রকল্পের কাজ

শীঘ্রই শুরু হচ্ছে বাঙালী নদীর খনন প্রকল্পের কাজ

সিরাজগঞ্জ থেকে বগুড়া হয়ে গাইবান্ধা পর্যন্ত ২২৩ কিলোমিটার বাঙালী নদীর খনন ও তীর সংরক্ষণের কাজের অনুমোদন হয়েছে। এ কাজটি সম্পন্ন করতে সরকারের ব্যয় হবে ২৩শ কোটি টাকা। অপরদিকে বাঙালী নদীর অব্যাহত ভাঙন রোধে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার সোনাকানিয়ায় বাঁশের পাইলিং করে বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন রোধ করা হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জ থেকে বগুড়া জেলার ধুনট, সারিয়াকান্দি ও সোনাতলার উপর দিয়ে গাইবান্ধা পর্যন্ত ২২৩ কিলোমিটার বাঙালী নদী খনন ও নদীর তীর সংরক্ষণের জন্য সরকার ২৩শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।

এর মধ্যে বগুড়ার ৩ উপজেলার ২৯ টি পয়েন্টে ২২টি প্যাকেজের মাধ্যমে কাজটি সম্পন্ন হবে। বগুড়ার অংশে নদী খনন ও তীর সংরক্ষণ করতে ব্যয় হবে ৮শ কোটি টাকা। বাঙালী, করতোয়া ও ফুলঝোড় নদী খনন ও তীর সংরক্ষণ প্রকল্প নামের এই প্রকল্পটি অনুমোদনের পর টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঠিকাদার নিযুক্ত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের কার্যাদেশও দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

দীর্ঘদিন যাবত বাঙালী নদীর অব্যাহত ভাঙনে শতশত একর আবাদী জমি, গাছপালা ও বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে ওই নদী শাসন ও তীর সংরক্ষণের জন্য স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকার এই প্রকল্প হাতে নিয়েছে। আগামী শুষ্ক মৌসুমে ওই প্রকল্পের কাজ একযোগে শুরু হবে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এ বিষয়ে দেলোয়ার হোসেন নামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের একজন কার্য সহকারী জানান, সিরাজগঞ্জ থেকে বগুড়া হয়ে গাইবান্ধা পর্যন্ত ২২৩ কিলোমিটার নদী খনন ও তীর সংরক্ষণ করতে সরকারের ব্যয় হবে ২৩শ’ কোটি টাকা। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে কৃষকদের জন্য নদী থেকে পানি উত্তোলন করে কৃষি ফসল ফলানো সহজ হবে।

তিনি আরও জানান, বগুড়ার ধুনট থেকে শুরু করে সোনাতলা পর্যন্ত ২৯টি পয়েন্ট ২২টি প্যাকেজের মাধ্যমে কাজ সম্পূর্ণ হবে। আর এতে সরকারের ব্যয় হবে ৮’শ কোটি টাকা।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের আরেক কার্য সহকারী ফারুকুল ইসলাম জানান, সোনাতলার নামাজখালী, সাতবেকী, রংরারপাড়া, হলিদাবগা, নিশ্চিন্তপুর ও সোনাকানিয়ায় নদীর তীর সংরক্ষণের কাজ হবে। এ ছাড়াও বাঙালী নদীর অব্যাহত ভাঙন রোধে সোনাকানিয়ায় বাঁশের পাইলিং করে বালুর বস্তা ফেলানো হচ্ছে, এতে করে ভাঙন রোধ হয়েছে।

এ কাজটি বাস্তবায়ন করছে, মেসার্স তাজওয়ার ট্রেড সিসটেম লিমিটেড। সংশ্লিষ্ট স্থানে ভাঙনরোধের ফলে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী জামে মসজিদ, গুড়াভাঙা বাজার ও গুড়াভাঙা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ সোনাতলা গাবতলী সড়ক নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাবে।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, ২২৩ কিলোমিটার নদী খনন ও তীর সংরক্ষণ প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। কাজটি লটারির মাধ্যমে ঠিকাদার নিযুক্তসহ সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। আসন্ন শুষ্ক মৌসুমে প্রকল্পটির কাজ শুরু হবে।

দৈনিক বগুড়া