শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সাড়ে তিন হাজার মহিলা স্বেচ্ছাসেবী সমিতি পেলো ১১ কোটি টাকা

সাড়ে তিন হাজার মহিলা স্বেচ্ছাসেবী সমিতি পেলো ১১ কোটি টাকা

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের গ্রামীণ নারীদের সাবলম্বী হয়ে উঠতে সাড়ে তিন হাজার মহিলা স্বেচ্ছাসেবী সমিতিকে প্রায় ১১ কোটি টাকার অনুদানের চেক দিলো মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। 

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সভাকক্ষে মহিলা বিষয়ক অধিদফতর আয়োজিত নিবন্ধিত স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতিগুলোর মধ্যে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের অনুদানের চেক বিতরণ করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।

মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালক পারভীন আক্তারের সভাপতিত্বে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আক্তার, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান চেমন আরা বেগম ও প্রধানমন্ত্রীর অ্যাসাইনমেন্ট অফিসার আফরোজা বিনতে মনসুর (গাজী লিপি)।  এছাড়া দেশের সব জেলা প্রশাসক, মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের উপ-পরিচালক ও স্বেচ্ছাসেবী সমিতির সদস্যরা ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম জুমে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন।  

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, বাংলাদেশ থেকে নারী দারিদ্র্য নির্মূল, নারীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও নারীদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতির সদস্যদের আরও বেশি করে এগিয়ে আসতে হবে।  ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প, গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী খাবার ও পোশাককে ডিজিটাল বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা কাজে লাগিয়ে শহর ও বিদেশের ক্রেতাদের সামনে তুলে ধরতে স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।  

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা সমবায়কে গ্রামীণ উন্নয়নের জন্য যাদুস্পর্শের সঙ্গে তুলনা করে বলেছিলেন সমবায়ের মাধ্যমে সুপ্তগ্রাম জেগে উঠবে। 

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন ১৯ হাজার ৭৫৩টি স্বেচ্ছাসেবী সমিতি রয়েছে।  এর মধ্যে তিন হাজার ৫০০ স্বেচ্ছাসেবী সমিতিকে আমরা আজ প্রায় ১১ কোটি টাকা বিতরণ করছি৷ যা সমিতির সদস্যদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নারীদের সমবায় সমিতিতে অংশগ্রহণ বাড়াতে যে আহ্বান জানিয়েছেন, সেই লক্ষ্য পূরণে আজকের এ অনুদান ভূমিকা রাখবে।  

অনুষ্ঠানে জুমে সাতক্ষীরা, খুলনা, নড়াইল ও মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রাশসক ও উপকারভোগীরা বক্তব্য দেন।  অনুদান প্রাপ্তির অনুভ‚তি জানিয়ে বিভিন্ন মহিলা উন্নয়ন সমিতির সদস্যরা বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় করোনাকালে অনুদানের পরিমাণ অনেক বেশি। যা তাদের সদস্যদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

দৈনিক বগুড়া