শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সোনাতলায় ধান কাটা শুরু, ভালো দাম পেয়ে কৃষক খুশি

সোনাতলায় ধান কাটা শুরু, ভালো দাম পেয়ে কৃষক খুশি

বগুড়ার সোনাতলায় কৃষক ঝড়-বৃষ্টির আশংকায় মাঠের ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি হাটে বাজারে নতুন ধান বেচা বিক্রি শুরু হয়েছে। ভালো দাম পেয়ে বেজায় খুশি ওই উপজেলার কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ার সোনাতলা একটি পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়নে ১০ হাজার ৫৮৫ হেক্টর জমিতে এবার ইরি-বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। ব্রিধান-২৮, ব্রিধান-৮১, স্থানীয় বোরো সহ বিভিন্ন জাতের ধান রোপন করেছে ওই উপজেলার কৃষকেরা।
২৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে ওই উপজেলায় ইরি-বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। এমনটি উপজেলার বালুয়া ইউনিয়নের রশিদপুর ও গোবরচাপা বিলে স্বেচ্ছাশ্রমে জনপ্রতিনিধি, আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদেরকে কৃষকের ধান কাটতে সহায়তা করতে দেখা গেছে। স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কাটতে অংশ নেন উপজেলা চেয়ারম্যান এড. মিনহাদুজ্জামান লীটন, বালুয়া ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক রুহুল আমিন, মধুপুর ইউপি চেয়ারম্যান অসীম কুমার জৈন নতুন, কৃষকলীগ নেতা নাহিদ হাসান, আওয়ামীলীগ নেতা মানিক সরকার, ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুল হাসান রতন সহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও কৃষকলীগ নেতা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মতিয়ার রহমান ও শেখ রাসেল উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও উপজেলার পোড়াপাইকড়, কুশাহাটা, শ্যামপুর, পাকুল্লা, পদ্মপাড়া, নিশ্চিন্তপুর, মিলনের পাড়া, উত্তর করমজা, হরিখালী, মধুপুর, হাঁসরাজ, রংরারপাড়া, শিচারপাড়া, দিঘলকান্দী, মহিচরণ, চিল্লিপাড়া, পাঠানপাড়া, হাটকরমজা, ঠাকুরপাড়া, পূর্ব করমজা, গনসারপাড়া এলাকায় কৃষককে মাঠের ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত দেখা গেছে।
হাটকরমজা এলাকার কৃষক আনারুল ইসলাম টিপু, কোড়াডাঙ্গা এলাকার কমর উদ্দিন, পোড়াপাইকর এলাকার তারিন আকতার, পদ্মপাড়া এলাকার বিপুল মিয়া জানান, এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। হাটে বাজারে প্রতিমন ধান সাড়ে ৭শ থেকে ৮শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কৃষক আরও জানান, হাতের কাছে তারা রাসায়নিক সার, উন্নতজাতের বীজ ও কৃষি বিভাগের সার্বক্ষনিক পরামর্শে এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মাসুদ আহমেদ জানান, এবার ধানের ফলন হয়েছে বেশ ভালো। কৃষক ঝড়-বৃষ্টির আশাংকায় দ্বিগুন মজুরি দিয়ে শ্রমিক লাগিয়ে মাঠের ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রতিবিঘায় ২২-২৫ মন ধান উৎপন্ন হয়েছে। তিনি আরও জানান, প্রাকৃতিক কোন দূর্যোগ না এলে এবার দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে।

দৈনিক বগুড়া