শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সোনাতলায় বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে জনপ্রতিনিধি-২জন স:কর্মকর্তা

সোনাতলায় বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে জনপ্রতিনিধি-২জন স:কর্মকর্তা

বর্তমান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে বগুড়ার সোনাতলায় একজন জনপ্রতিনিধি ও দুইজন সরকারী কর্মকর্তা সার্বক্ষনিক ওই উপজেলার মানুষের বিপদে আপদে পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন।

বর্তমান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে মানুষ যখন প্রত্যেকে বাঁচার সংগ্রামে প্রকৃতির সাথে লড়াই করে যাচ্ছে। ঠিক সেই মুহুর্তে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার একজন জনপ্রতিনিধি ও দুইজন সরকারী কর্মকর্তা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা রোগীদের বাঁচানোর জন্য অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন

সেই তিনজন মহান ব্যক্তি হচ্ছেন, উপজেলা চেয়ারম্যান এড. মিনহাদুজ্জামান লীটন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শফিকুর আলম ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউর রহমান। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির শুরু থেকেই তারা মাঠে রয়েছেন। শুধু করোনা পরিস্থিতি নয়, সকল প্রাকৃতিক দূর্যোগে ওই উপজেলার মানুষের পাশে থেকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৬০ জন নারী পুরুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তদের সাথে সাথে হাসপাতালে কিংবা নিজ বাসায় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ওই সকল ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের খাবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়াও মৃত ব্যক্তিদের দাফন কাফনে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। এতে করে ওই উপজেলার প্রায় ২ লক্ষাধিক মানুষের মণিকোঠায় এই তিনব্যক্তি স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় পাকুল্লা ইউপি চেয়ারম্যান জুলফিকার রহমান শান্ত, তেকানী ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শামছুল হক মন্ডল, মধুপুর ইউপি চেয়ারম্যান অসীম কুমার জৈন নতুন জানান, সকল প্রাকৃতিক দূর্যোগের ন্যায় করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে মানব সেবায় ওই তিনজন মহান ব্যক্তি সার্বক্ষনিক মানুষের সুখে দুখে পাশে রয়েছে।

এ বিষয়ে কথা হয় উপজেলা চেয়ারম্যান এড. মিনহাদুজ্জামান লীটনের সাথে। তিনি জানান, আমি আমৃত সোনাতলা উপজেলাবাসীর সুখে দুখে পাশে থাকতে চাই। এজন্যই বর্তমান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতেও নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমি তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। সরকারী ও ব্যক্তিগত অর্থায়নে সহযোগিতা করেছি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শফিকুর আলম জানান, আরও সহযোগিতা করতে পারলে আত্মতৃপ্তি পেতাম।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউর রহমান জানান, মানব সেবার চেয়ে উত্তম আর কিছু নেই। তাই মানুষের পাশে থেকে সেবা করতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে করি।

দৈনিক বগুড়া