সংগৃহীত
শাহরুখ-জুহির বন্ধুত্বের কথা কে না জানে। ছেলে আরিয়ানের বিপদে শাহরুখের পরিবারের সদস্যসের মতোই পাশে ছিলেন জুহি। শাহরুখপুত্র আরিয়ানের জামিনদারও হয়েছিলেন জুহি। মুম্বাই সেশন কোর্টে নিজে গিয়ে আরিয়ানের মুক্তির জন্য এক লাখ রুপির জামিন বন্ডে স্বাক্ষর করেন তিনি। এ বন্ধুত্ব আজকের নয়। একসঙ্গে একাধিক সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। বিগত তিন দশকে শাহরুখ-জুহির বন্ধুত্ব গড়িয়েছে খেলার ময়দান পর্যন্ত।
দুই বন্ধু কলকাতা নাইট রাইডার্সের যৌথ মালিক, সঙ্গে অবশ্য জুহির স্বামী জয় মেহতারও শেয়ার রয়েছে। একসঙ্গে টিমের উত্থান-পতনের সাক্ষী থেকেছেন তাঁরা। কিন্তু কেকেআরের ম্যাচ দেখার সময় বন্ধু শাহরুখ খান যা করেন, সেটা মোটেই পছন্দ নয় জুহি চাওলার। জুহি চাওলা জানিয়েছেন, শাহরুখের সঙ্গে খেলা দেখার অভিজ্ঞতা তাঁর জন্য মোটেও সুখকর নয়।
জুহি চাওলা সম্প্রতি জানিয়েছেন, কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) ম্যাচ চলাকালে অসম্ভব টেনশনে থাকেন তিনি আর শাহরুখ খান। গ্যালারির টেনশনের অভিজ্ঞতা নিয়ে মুম্বাইয়ের রুটস টু রুটস ইভেন্টে কথা বলেছেন জুহি।
অবশ্য কেকেআর নিয়ে শাহরুখ-জুহির আবেগও যে ম্যাচের সময়ে মাত্রা ছাড়ায়, তা ক্যামেরায় ধরা পড়ে মাঝেমধ্যেই। এবার জুহির কথায় তারই আভাস মিলল। জুহি জানিয়েছেন, কেকেআর যদি খারাপ খেলে, শাহরুখ নাকি চিৎকার করেন তাঁর ওপর। জুহির কথায়, ‘দল খারাপ খেললে ও মাথা গরম করে আর আমার ওপর রাগ দেখায়। আমি তখন বলি, কথাগুলো আমাকে না বলে টিমকে বলো!’ জুহি আরও বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে বসে কেউ খেলা দেখলে তার খুব ভালো অভিজ্ঞতা হবে না।’ তবে জুহি জানিয়েছেন, গ্যালারিতে এমন অভিজ্ঞতা প্রায় সব দলের মালিকদেরই হয়। দল মাঠে খেলার সময় টেনশনে সব মালিকই ঘামতে থাকেন।
এর আগে ‘কপিল শর্মা’ শোতে একবার জুহি জানিয়েছেন, তিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন, নাইট রাইডার্স যখন ২২ গজে পারফর্ম করে, তখন গ্যালারিতে যদি তিনি, তাঁর স্বামী জয় ও শাহরুখ—তিনজনই একসঙ্গে উপস্থিত থাকেন, তাহলে টিম জিতে যায়। কিন্তু ব্যস্ত শিডিউলের জন্য বেশির ভাগ সময়ই সেটা সম্ভব হয় না।
অমিতাভ বচ্চন ও জুহি চাওলা অভিনীত ‘ভূতনাথ’ ছবিতে অতিথি চরিত্রে দেখা গিয়েছিল শাহরুখ খানকে। শাহরুখের দীর্ঘদিনের বন্ধু জুহি চাওলা। বন্ধুর ছবিতে কোনো পারিশ্রমিক ছাড়াই অভিনয় করেছিলেন কিং খান
কপিল শর্মার কাছে রসিকতা করে জুহি বলেছিলেন, ‘অনেক সময় এ রকম হয়, টিম খারাপ খেলছে। আমি বসে মন্ত্র জপ করছি। শাহরুখ রীতিমতো আমাকে ধমকাতে শুরু করে। খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স নিয়ে খেপে যায়। আমাকে বলে, এবার মনে হচ্ছে আমাকে একটা টিম মিটিং ডাকতেই হবে। সব বকুনি আমি খাই তখন!’ তারপর কী হয় সেই মিটিংয়ে? জুহি বলেছিলেন, ‘শাহরুখ টিম মিটিং ডাকার পর আমি ভাবি, এবার হয়তো প্লেয়ারদের কিছু বলবে। কিন্তু কোথায় কী? ও তখন কোনো একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করে দেয়। আর সবশেষে বলে, ভালো করে খেলো।’
সূত্র: প্রথম আলো
