বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার’ গানটি কেন এত জনপ্রিয়?

‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার’ গানটি কেন এত জনপ্রিয়?

সংগৃহীত

রাত পোহালেই ঈদ। আর ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। ঈদ আসলেই সবখানে শুরু হয় নতুন কনটেন্টের সমাহার। তবে সবকিছুর উপরে একটা গান শুনলেই যেন মন ভরে যায়। সেটা হলো ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার’। ছোট থেকে বড় সবার কাছেই গানটি পরিচিত। গানটি কিভাবে এত জনপ্রিয়তা পায় বা এর শুরু কীভাবে- তা হয়তো অজানা অনেকের।

২০০৯ সালের ঘটনা। বেসরকারি মুঠোফোন প্রতিষ্ঠান গ্রামীনফোনে বিজ্ঞাপনের জন্য গানটি লিখেন প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন কর্মকর্তা আনিকা মাহজাবিন। সেসময় ঈদের খুব বেশি বাকি নেই। ঈদে বাড়ি ফেরা নিয়ে একটি বিজ্ঞাপনচিত্র করতে হবে।

আনিকা মাহজাবিন অতীত মনে করে বলেন, খন্দকার আশরাফুল হক সরোজ বলেন, কিছু একটা করতে হবে। তখন লিখে ফেলি কথাগুলো ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি, আমার পথ দেব পাড়ি, কাছে যাব ফিরে বারবার’। ওই সময় তার লেখা গানটির সুর ও সংগীতায়োজন করেন তখনকার তরুণ প্রজন্মের সংগীতশিল্পী হাবিব ওয়াহিদ এবং এতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন সংগীতশিল্পী মিলন মাহমুদ।

গানটি প্রকাশের দুই বছর পর অর্থাৎ ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠানটি ছেড়ে দেন তিনি।

‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি’ গানটি বিজ্ঞাপনচিত্রের থিম সং হলেও গান হিসেবে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠে। প্রকাশের প্রায় দেড় দশক হলেও এখনো এর কদর একদমই কমেনি। বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আবেগের সঙ্গে মিশে গেছে গানটি। প্রতিবছরই ঈদযাত্রায় বাড়ি ফেরা মানুষের মুখে মুখে শোনা যায় গানটির কথা। আবার যেসব মানুষ জীবিকার প্রয়োজনে পরিবারের সদস্য ছেড়ে কর্মস্থলে ঈদ করেন, তাদেরও অনেক অনুভূতির মিশেল পাওয়া যায় গানটির কথায়।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে গানটি নিয়ে শ্রোতাদের উন্মাদনার ব্যাপারে এর গীতিকার আনিকা মাহজাবিন বলেন, গানটি লেখার পর সুর করেছিলেন হাবিব নিজেই। আমি বললাম, তোমার কণ্ঠেই ভালো হচ্ছে। তখন হাবিব বলল, আপনি শুধু ভয়েসটা দিয়ে দেখেন, তারপর দেখেন কী ঘটে। ভয়েস দেয়ার পর তো অনুভূতিই পাল্টে গেল। এরপর গ্রামীণফোনের কাছে পছন্দ হয় গানটি। যা দিয়ে পরবর্তীতে বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণ করেন কিসলু গোলাম হায়দার। এরপর গানটির ভিডিওচিত্র তৈরি করেন রম্য খান। যা বিভিন্ন রেলস্টেশন, লঞ্চঘাট ও টেলিভিশনে দেখানো হয়েছিল।

‘স্বপ্ন বাড়ি যাবে’ প্রকাশের পর ব্যাপক সাড়া ফেললে এর সাত বছর পর ২০১৬ সালে ‘স্বপ্ন বাড়ি যাবে-২’ তৈরি করা হয়। এটিও বিজ্ঞাপনের থিম সং ছিল। যার সুর ও সংগীতায়োজন করেন হাবিব ওয়াহিদ। রাসেল মাহমুদের লেখায় গানটিতে কণ্ঠ দেন সংগীতশিল্পী মিথুন চক্র।

এটিও প্রকাশের পর ব্যাপক সাড়া ফেলে। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন, ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি ২’ গানটি হাবিব ওয়াহিদের বা মিলন মাহমুদের। আসলে তা নয়, এটি গেয়েছেন মিঠুন চক্র। দুটি গানের শিরোনাম একই হলেও কথা একদমই আলাদা। এর গীতিকারও আলাদা। কিন্তু দুটি গানেরই সুরে কিছুটা মিল থাকায় দ্বিধায় পড়তে হয় দর্শক-শ্রোতাদের। আর ২০২২ সাল থেকে ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি ২’ গান নিয়েই নিয়মিত বিজ্ঞাপনচিত্র করছে মুঠোফোন প্রতিষ্ঠানটি।

শিরোনাম:

রূপপুর-বগুড়া গ্রিড লাইনে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সঞ্চালন শুরু
সারিয়াকান্দিতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
নন্দীগ্রামে পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ সড়কের কার্পেটিং কাজ শুরু
বগুড়ায় কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৪ উপলক্ষে অনুসন্ধান
শাজাহানপুরে মাটি দস্যুদের বিরুদ্ধে ফের ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান
অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন শাজাহানপুরের ইউএনও
উপজেলা নির্বাচনের তফসিল আজ
ঈদে নতুন নোট পাওয়া যাবে ৩১ মার্চ থেকে
অবশেষে সুখবর পেলেন দানি আলভেজ
ঈদ উপলক্ষ্যে ৪১ রুটে চলবে বিশেষ লঞ্চ
প্রধানমন্ত্রীকে বই উপহার দিলেন কবি নির্মলেন্দু গুণ
নগরে খেলার মাঠ ও পার্ক নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস