শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঐতিহ্য রক্ষায় মাদারীপুরে পিঠা উৎসব

ঐতিহ্য রক্ষায় মাদারীপুরে পিঠা উৎসব

মাদারীপুর শহরের শকুনি লেকপাড়ের স্বাধীনতা অঙ্গনে শুরু হয়েছে পিঠা উৎসব। যা দেখতে ভিড় করছেন শিশু-কিশোরসহ নানা বয়সী মানুষ। ইতিহাস ও ঐতিহ্য ধরে রাখতেই এ আয়োজন বলে জানায় আয়োজকরা। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে শুরু হয়েছে এ পিঠা উৎসব। চলবে শনিবার (২৮ জানুয়ারি) রাত ৯টা পর্যন্ত। দুই দিনব্যাপী পিঠা উৎসবে শতাধিক পিঠা-পুলি রয়েছে। এক সঙ্গে এত ধরনের পিঠা দেখতে পেয়ে খুশি দর্শনার্থীরা।

পিঠা উৎসব ঘুরে দেখা যায়, শকুনি লেকপাড়ের স্বাধীনতা অঙ্গনে ৯টি স্টলে সাজানো আছে মনোমুগ্ধকর ও লোভনীয় নানা রকমের পিঠা। হৃদয় হরণ, ডিম সুন্দরী, বিবি খানা, চালতা পাতা, জামাই পিঠা, গোলাপ, মালপোয়া, তালের পিঠা, দুধপুলি, চিতই, নকশি পিঠা, মুগ পাকন, পাটিসাপটা, লবঙ্গ লতিকা, ভাপা, চিতই, পাকনসহ মজার মজার নামের নানা স্বাদের পিঠা। আর এসব পিঠা দেখতে ও কিনতে ভিড় করছেন নানা বয়সের দর্শনার্থী।

জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম। এখানে মাদারীপুর পৌরসভার সহযোগিতায় অংশ নিয়েছে ৯ জন নারী উদ্যোক্তা। ‘খেঁজুর রস, খেঁজুর গুড়, দক্ষিণের দ্বার মাদারীপুর’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে আয়োজিত পিঠা উৎসব শেষ হবে শনিবার রাত ৯টায়। এখানে অংশ নেওয়া সবার জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা করেছে জেলা প্রশাসন।

পিঠা উৎসবে অংশ নেওয়া জুলিয়া আক্তার বলেন, বর্তমানে নারীরা শুধু ঘরে বসে কাজ করেন না। ঘরে ও বাইরে দুই জায়গায় কাজ করেন। আর পিঠা একটা শিল্প, একটা ঐহিত্য। এটা বোঝাতেই মেলায় অংশ নিয়েছি। নতুন নতুন পিঠার সঙ্গে সবাই পরিচিত হচ্ছে। বিশেষ করে ছোট ছোট শিশুরা এ পিঠা দেখে খুব আনন্দ পাচ্ছে।

দর্শনার্থী সোহান হোসেন বলেন, এ ধরণের আয়োজনের জন্য জেলা প্রশাসককে ধন্যবাদ জানাই। কারণ এ আয়োজন আমাদের ঐহিত্য বহন করে। মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, মাদারীপুরের ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্যই মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন এ আয়োজনের ব্যবস্থা করেছেন। অনুষ্ঠানে ৯টি স্টলে নানা ধরনের পিঠা আছে। যা দেখে ও খেয়ে অনেকেই মুগ্ধ হয়েছেন।

দৈনিক বগুড়া