শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

মননের মনজুড়ে গ্র্যান্ডমাস্টার

মননের মনজুড়ে গ্র্যান্ডমাস্টার

সংগৃহীত

ফাহাদ রহমানের যেমন বাবা, মনন রেজার তেমন সার্বক্ষণিক সঙ্গী তার মা। সেই পাঁচ-ছয় বছর বয়স থেকে মনন দাবা খেলছে। চশমা পরা ছোট্ট একটি ছেলে দাবার বোর্ডে দারুণ সব জয় তুলে নিচ্ছে দেখে সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা কথা বলতে গেলে গুছিয়ে কথাও বলতে পারত না। তার মা মৌমন রেজাই ছেলের হয়ে গড়গড় করে বলে দিতেন সব।

সেই মনন এখন ১৪ বছরের কিশোর, দাবার বোর্ডে পরিপক্বতা আরো বেশি। মায়ের ছায়া থেকে বেরোনোর পর অবশ্য বেশিদিন হয়নি। গত বছরই কিরগিজস্তানে বাংলাদেশ ও ভারতের বাইরে খেলা মননের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার টুর্নামেন্টেও সঙ্গী ছিলেন তার মা। এবারের থাইল্যান্ড সফর সেখানে একেবারেই আলাদা।

মনন এই প্রথম নিজেই নিজের দায়িত্ব নিয়ে খেলতে যায় পেশাদার টুর্নামেন্ট। সহখেলোয়াড় হিসেবে সঙ্গী হয়েছিলেন আন্তর্জাতিক মাস্টার আবু সুফিয়ান, যিনি একজন কোচও। পরোক্ষে মননের অভিভাবক আর বড় পরামর্শদাতা হয়ে উঠেছিলেন তিনিই। সেই সুফিয়ান এই আসরে সেই ছোট্ট মননকে যেন নতুনভাবে আবিষ্কার করেছেন, ‘সত্যি বলতে, সেই ছোটবেলা থেকে ওকে দেখে আসছি, ওকে এত ভালো খেলতে আগে কখনো দেখিনি।

দুজন গ্র্যান্ডমাস্টারকে হারিয়েছে, দুজন আন্তর্জাতিক মাস্টারকে হারিয়েছে এক আসরে। তার চেয়ে বড় কথা হলো ওর রেটিং এবার ২৪০০ ছাড়িয়ে গেছে। ও-ই এখন দেশের সর্বোচ্চ রেটেড দাবাড়ু। থাইল্যান্ডে যেভাবে খেলেছে, জিএম নর্মটা ওর প্রাপ্য ছিল।’ অথচ গত কিছুদিন জিএম নর্ম নিয়ে সব আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন আন্তর্জাতিক মাস্টার ফাহাদ রহমান।

ভিয়েতনামে কয়েকটি আসরে খুব কাছে গিয়ে ফেরার পর এ মাসের শুরুতে সেখানেই পেয়েছেন কাঙ্ক্ষিত নর্মটি। মননকে নিয়ে সেই আলোচনা ছিল না একেবারেই। গত জাতীয় দাবায় দুই গ্র্যান্ডমাস্টারকে হারালেও দেশের বাইরে গ্র্যান্ডমাস্টার বধ তার এই প্রথম। ফিদে মাস্টার হিসেবে জিএম নর্মটাও করে ফেললে দারুণ ব্যাপারই হতো সেটা। তবে ফিরেছে আন্তর্জাতিক মাস্টার নর্ম করে। দেশে আইএম নর্ম আছে আরো বেশ কয়েকজনের। কিন্তু তার মতো রেটিং নেই কারো।

স্বাভাবিকভাবে মননের চোখ তাই আর আইএম খেতাবে নেই, ‘এখন জিএম নর্মের জন্যই আমি খেলব। থাইল্যান্ডে জিএম নর্মের এত কাছাকাছি যেতে পারব, ভাবিনি। ভেবেছিলাম, ভালো খেলব। তাতেই খুব ভালো একটি সুযোগ এসেছিল। সামনেও এমনটা আসবে, আমি তা কাজে লাগাতে চাই।’

সূত্র: যুগান্তর

সর্বশেষ: