শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

এন্ড্রু কিশোরের যা কিছু অর্জন

এন্ড্রু কিশোরের যা কিছু অর্জন

‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’ গানের এই কথাই যেন বাস্তবে রূপ নিলো। ডাক পেয়ে পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে পরপারে পাড়ি দিলেন এন্ড্রু কিশোর। সোমবার সন্ধ্যায় রাজশাহীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুতে শোকস্তব্দ সংগীত জগৎ। প্রিয় শিল্পীর মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না কেউ।

তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোক জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শোবিজের নানা অঙ্গনের তারকারাও। 

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে সুখ-দুঃখ, হাসি-আনন্দ, প্রেম-বিরহ সব অনুভূতির অসংখ্য গান গেয়েছেন এন্ড্রু কিশোর। কিংবদন্তি এই শিল্পীর জীবনে অর্জনের শেষ ছিল না।

বাংলা গানে অবদানের জন্য তিনি মোট আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। বাচসাস পুরস্কার পেয়েছেন পাঁচবার। এছাড়াও মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

যেসব সিনেমায় গান গেয়ে শ্রেষ্ঠ গায়ক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন এন্ড্রু কিশোরঃ

বড় ভাল লোক ছিল (১৯৮২) সিনেমার ‘হায়রে মানুষ, রঙ্গীন ফানুস, দম ফুরাইলেই ঠুস’ এবং সারেন্ডার (১৯৮৭) সিনেমার ‘সবাইতো ভালোবাসা চায়; ক্ষতিপূরণ (১৯৮৯) সিনেমার ‘আমি পথ চলি একা এই দুটি ছোট্ট হাতে’ গানটি গেয়ে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।

পদ্মা মেঘনা যমুনা (১৯৯১) সিনেমার গান ‘দুঃখ বিনা হয় না সাধনা’, কবুল (১৯৯৬) সিনেমার গান ‘এসো একবার দুজনে আবার’, আজ গায়ে হলুদ (২০০০) চলচ্চিত্রের ‘চোখ যে মনের কথা বলে’, সাজঘর (২০০৭) এবং কি যাদু করিলা (২০০৮) ছবির ‘কি যাদু করিলা’ গানের জন্য শ্রেষ্ঠ গায়েকের পুরস্কার পান তিনি।

বাচসাস পুরস্কারের সাল ও নির্বাচন গান:

প্রিন্সেস টিনা খান (১৯৮৪), স্বামী স্ত্রী (১৯৮৭), প্রেমের তাজমহল (২০০১), মনে প্রাণে আছ তুমি (২০০৮) ও গোলাপী এখন বিলাতে (২০১০)।

এছাড়াও ১৯৯৮ সালে ‘পদ্ম পাতার পানি নয়' গানটির জন্য মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার পান এন্ড্রু কিশোর। 

দৈনিক বগুড়া

সর্বশেষ: