রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

দুশ্চিন্তা আর কোয়ারেন্টিন পেরিয়ে অপূর্ব-আরিয়ান জুটি...

দুশ্চিন্তা আর কোয়ারেন্টিন পেরিয়ে অপূর্ব-আরিয়ান জুটি...

৭ জুলাই মিজানুর রহমান আরিয়ানের ‘প্রাণ প্রিয়’ নাটকের মাধ্যমে টানা চার মাস পর শুটিংয়ে ফিরেছেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। তবে একদিনের মাথায় তাকেসহ পুরো ইউনিটকে ফিরতে হলো হোম কোয়ারেন্টিনে। কারণ, ৮ জুলাই ইউনিটের দুজন সদস্যের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে!

প্রচণ্ড দুশ্চিন্তা নিয়ে ফের ঘরবন্দি জীবন! এরমধ্যে দুই দফা করোনা টেস্ট দিয়ে ফলাফল নেগেটিভ নিয়ে ফের শুটিংয়ে ফিরলেন এই অপূর্ব। নির্মাতার পরিস্থিতিও একই। দুজনে মিলে ফের শুরু করলেন ঈদ মিশন। এবার ঈদের আরেকটি প্রজেক্ট। নাম ‘জানবে না কোনদিন’। এতে অপূর্বর নায়িকা তাসনিয়া ফারিন।

আরিয়ান জানান, ২০ জুলাই শুটিংয়ে ফিরে প্রথমে শেষ করেছেন অপূর্ব-মেহজাবীনের ‘প্রাণ প্রিয়’ নাটকের বাকি থাকা দুটি দৃশ্যের কাজ। ২১ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই শেষ করলেন ‘জানবে না কোনদিন’ এর কাজ। তারও আগে ইউনিটের ২৬ সদস্যের করোনা টেস্ট করা হয়েছে। পাওয়া গেছে নেগেটিভ ফলাফল।

দুটি নাটকই প্রযোজনা করেছে সিএমভি। যা উন্মুক্ত হবে ঈদ আয়োজনে প্রতিষ্ঠানটির ইউটিউব চ্যানেলে।
‘জানবে না কোনদিন’ নাটকটি প্রসঙ্গে এর চিত্রনাট্যকার ও নির্মাতা মিজানুর রহমান আরিয়ান বলেন, ‘আমি কখনোই প্রচারের আগে নাটকের গল্পটা বলতে চাই না। পারলে শিল্পীদের নামও এড়িয়ে যাই। কারণ এগুলো আগাম বললে, দর্শকদের আগ্রহ হারানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়। তো এই ঈদের জন্য এটি আমার দ্বিতীয় প্রজেক্ট। কাজটি ঠিকঠাক শেষ করতে পেরেছি। এটাই বড় কথা।’

এদিকে অপূর্ব নাটকটির গল্প প্রসঙ্গে জানান, গল্পটা এই করোনাকালকে ঘিরে। দুজন করোনাক্রান্ত স্বামী-স্ত্রীর প্রেম ও ক্রাইসিসের গল্প এটি।
অপূর্ব বলেন, ‘আসলে বাস্তবতা মেনে নিয়েই সবাইকে এখন চলতে হবে। এটাই নিউ নরমাল। তবে এবার আরও সতর্ক হয়ে কাজ করছি। চেষ্টা করবো এরমধ্যে যাদের কথা দিয়েছি তাদের কাজগুলো শেষ করার। এমনিতেই তো প্রায় সাড়ে চার মাস কাজের বাইরে ছিলাম।’ জানবে না কোনদিন: অপূর্ব-ফারিন

নির্মাতা আরিয়ান জানান, এই ঈদে তিনি আরও একটি প্রজেক্ট করছেন অপূর্বকে নিয়ে। ‘ছায়াছবি’ নামের এই নাটকটিতে অপূর্বর বিপরীতে থাকছেন মেহজাবীন চৌধুরী।
এদিকে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিএমভি’র কর্ণধার এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু জানান, এবারের ঈদে ১০টি বিশেষ নাটক নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। যার বেশিরভাগই তারকা সমৃদ্ধ।
তার ভাষ্যে, ‘প্রতিটি কাজের আগেই আমরা পুরো ইউনিটের করোনাভাইরাস টেস্ট করাচ্ছি নিজেদের উদ্যোগে। ফলাফল নেগেটিভ নিশ্চিত হয়েই শুটিংয়ে যাচ্ছি। চেষ্টা করছি, এই মহামারির ঈদেও দর্শকদের সামনে কিছু ভালো গল্প তুলে ধরার। যেগুলো দেখে মানুষ স্বস্তি পাবেন।’

দৈনিক বগুড়া

সর্বশেষ: