মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা

ভারতে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা

ভারতে দ্বিতীয় দফার লকডাউন শেষ হচ্ছে সোমবার (৪ মে)। এদিন থেকেই আবার শুরু হচ্ছে তৃতীয় দফার লকডাউন, যা চলবে ১৭ মে পর্যন্ত। টানা ছয় সপ্তাহ পর চলমান লকডাউনে কিছু ছাড়ও দিয়েছে সরকার। ফলে দেশবাসী একটু স্বস্তিবোধ করতে শুরু করেছিল।

কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টার রিপোর্ট মোটেই আশ্বস্ত হতে দিলো না। একদিনে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় নতুন রেকর্ড তৈরি হলো ভারতে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৪৮৭ জন। ফলে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা মোট ৪২ হাজার ৫৩৩। ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৮৩ জন। সব মিলিয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৩৭২ জন।

শুধু মহারাষ্ট্রেই প্রাণ হারিয়েছেন ৫২১ জন। গুজরাতে মারা গিয়েছেন ২৬২ জন এবং মধ্যপ্রদেশে ১৫১ জন। এছাড়া ভারতের আর কোনো রাজ্যে শতাধিক মৃত্যু নেই। রাজস্থানে মৃত ৬৫ এবং দিল্লিতে ৬৪ জন।

গত মাসের হিসাব দেখলে আতঙ্ক বাড়তে বাধ্য। ১৪ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার লকডাউন শুরুর সময় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যথাক্রমে ছিল ১০ হাজার ৮১৫ ও ৩৫৩। গত ১৯ দিনে তা বেড়েছে প্রায় চারগুণ। ৩ এপ্রিল দেশে ২ হাজার ৫৪৭ জন আক্রান্ত ও ৬২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল, যা প্রায় ২০ গুণ কম। যদিও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি, পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ায় এত আক্রান্ত ধরা পড়েছে।

তবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন জানিয়েছেন, বিশ্বের অন্য দেশের মধ্যে ভারতেই করোনা ভাইরাসে মৃত্যুহার সবচেয়ে কম। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তবে আক্রান্তরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন।

কিন্তু এ অঙ্ক বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ। তাদের মতে, আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ার ক্ষেত্রে প্রায় প্রতিদিন নতুন নজির তৈরি হচ্ছে ভারতে।

তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ১০ হাজারেরও বেশি রোগী সুস্থ হয়েছেন। এখনো অনেকে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। গত ১৪ দিনে যেখানে ১০ দশমিক ৫ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছিল, এখন সেখানে সময় লাগছে ১২ দিন। ভারতে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর হার ৩ দশমিক ২ শতাংশ, যা বিশ্বে সবথেকে কম।

অপরদিকে পশ্চিবঙ্গের সক্রিয় রোগী ৬৬৩ জন, মৃত ৫০ ও সুস্থ হয়েছেন ১৯৯ জন। যেহেতু রমজান চলছে, সেহেতু মমতা সরকার নতুন করে কিছু দোকানপাট খোলার নির্দেশ দেবেন রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন নবান্ন থেকে। সম্ভবত কলকাতায় কিছু পরিবর্তন আসতে পারে। এমনই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

দৈনিক বগুড়া

সর্বশেষ: