বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১২ ভাদ্র ১৪৩২

সারিয়াকান্দিতে বর্ষার পানিতে তলিয়ে গেছে ১৫ হেক্টর ধানের জমি

সারিয়াকান্দিতে বর্ষার পানিতে তলিয়ে গেছে ১৫ হেক্টর ধানের জমি

সংগৃহীত

চলতি মৌসুমে বগুড়ায় আমনের বাম্পার আবাদ হয়েছে। তবে অতিরিক্ত বর্ষার পানিতে সারিয়াকান্দিতে ১৫ হেক্টর জমির ধান তলিয়ে গেছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আংশিক ক্ষতি হলেও কয়েকজন কৃষক পুরো ফসল হারিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

প্রতিবছরের মতো এবারও বৃষ্টির পানির ওপর ভরসা করেই আমন চাষ করেছেন বগুড়ার কৃষকরা। মৌসুমের কয়েক দফা বৃষ্টিতে এখন জমি চাষ, বীজতলা থেকে চারা উত্তোলন আর রোপণে মাঠে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা। বৃষ্টিনির্ভর চাষাবাদ হওয়ায় সেচ খরচ প্রায় নেই বললেই চলে। তবে সার, কীটনাশক ও শ্রমিকের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে।

কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, কৃষকদের উন্নতমানের বীজ সরবরাহ করায় এ মৌসুমে জেলায় উচ্চফলনশীল জাতের আমন আবাদ বেড়েছে। এতে উৎপাদনও আগের তুলনায় বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

কৃষকদের হিসাবে, এক বিঘা জমিতে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হয় এবং সেখান থেকে ১৬ থেকে ৩০ মণ ধান পাওয়া যায়। সাধারণত জুলাইয়ের শেষ থেকে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত আমন রোপণ করা হয়। নভেম্বর-ডিসেম্বরে কৃষকের ঘরে ওঠে সোনালী ফসল।

কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। এতে ৯ লাখ ৯১ হাজার ৯১৭ টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, যা থেকে প্রায় ৬ লাখ ৬১ হাজার ২৭৮ টন চাল পাওয়া যাবে।

তবে অতিবৃষ্টির কারণে সারিয়াকান্দির কুতুবপুরের ধলিরকান্দি এলাকায় ১০ হেক্টর এবং উপজেলা সদর ও চন্দনবাইশা এলাকায় আরও ৫ হেক্টর জমির ধান পানিতে ডুবে যায়। উপজেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এর মধ্যে প্রায় ৩ হেক্টর জমির ধান এখনো পানির নিচে রয়েছে, তবে সেগুলোও আংশিক ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।

কুতুবপুর পূর্বপাড়া এলাকার কৃষক মাহাবুর রহমান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, এবার ছয় বিঘা জমিতে আমন ধান লাগিয়েছিলাম। সবকটাই পানিতে ডুবে গেছে। এর মধ্যে তিন বিঘার ধান পুরো নষ্ট, আর বাকি তিন বিঘার আংশিক ক্ষতি হয়েছে।

ধলিরকান্দি এলাকার কৃষক হেলাল মন্ডল বলেন, দুই বিঘা ধান লাগিয়েছিলাম। পুরোটাই ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে সারিয়াকান্দি কৃষি অফিসার মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, এবার তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। বর্ষার পানিতে ১৫ হেক্টর জমির ধান ডুবলেও বেশিরভাগ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি নামতে শুরু করেছে। গত বছর পানির অভাবে কৃষকেরা নিচু জমিতে ধান রোপণ করেছিলেন। এবার অতিরিক্ত বৃষ্টিতে সেসব জমির ধান তলিয়ে যায়।