রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ার কাহালুতে মরিচের বাম্পার ফলন, উচ্চ দামে খুশি কৃষকেরা

বগুড়ার কাহালুতে মরিচের বাম্পার ফলন, উচ্চ দামে খুশি কৃষকেরা

বগুড়ার কাহালু উপজেলাতে এবার মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। সেইসাথে কাঁচা মরিচের বাজার দাম ভালো থাকায় বেশ খুশি এ অঞ্চলের কৃষকেরা। 

চলতি মৌসুমে উপজেলার পাইকপাড়া, গিরাইল, জয়তুল, নারহট্ট, কল্যানপুর সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের কৃষকেরা বিঘা বিঘা জমিতে মরিচের আবাদ করেছেন। আবহাওয়া ও বাজার দর ভালো থাকায় অধিকাংশ জমিতেই অন্যান্য সবজির চেয়ে মরিচের আবাদ বেশী করছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা। বাজার দাম ভালো থাকলে ফলনের দ্বিগুন লাভ আশা করছেন মরিচ চাষীরা।

সরেজমিনে ওই সব এলাকায় গিয়ে দেখা যায় ক্ষেত থেকে মরিচ তোলা ও পরিচযার্র কাজে ব্যাস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। এসময় পাইকপাড়া গ্রামের গফুর তালুকদার নামে এক কৃষকের সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান, প্রায় ৩ মাস আগে তিনি হাট থেকে ‘বিজলি’ নামক উন্নতমানের মরিচ চারা কিনে তার ১২ শতক জমিতে লাগিয়েছেন। বাজার দাম ভালো থাকায় মরিচ বিক্রি করে ইতিমধ্যেই খরচের চেয়ে অধিক লাভ করেছেন তিনি।

মোমতাজ নামে ওই গ্রামের আরেক কৃষক জানান, জমিতে মরিচের চারা থাকে প্রায় ৫ মাস। মরিচ চাষ করতে বিঘা প্রতি খরচ হয় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। এবার বাজার দর ভালো থাকলে এক বিঘা থেকে তিন থেকে চার লাখ টাকার মরিচ বিক্রি করতে পারবেন বলে জানায় এই কৃষক।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে।

তবে মরিচ চাষীরা জানিয়েছেন, শীতকালীন আগাম সবজি হিসেবে মরিচের চাষ এবার শুরু থেকেই ব্যাপক ভালো হলেও অতি বৃষ্টির কারণে মরিচ চারার পাতা ঝড়ে যাওয়া, হলুদ হওয়া ও কুকড়িয়ে যাওয়ার মতো সমস্যার দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে কাহালু উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আখেরুর রহমান বলেন, আমরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছি। এছাড়াও যদি কোন কৃষক আমাদের কাছে সমস্যা নিয়ে আসেন তাদের আমরা বিভিন্ন ভাবে পরামর্শ দিয়ে থাকি। 

মরিচের ফলন ও  দাম ভালো পাওয়ায় মরিচ চাষিরা এবার বেশ লাভবান হবেন বলে আশা করছেন কৃষক ও কৃষি কমর্কর্তারা ।

দৈনিক বগুড়া