সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে কুয়া

কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে কুয়া

বগুড়ার সোনাতলায় কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে এন্দেরা (কুয়া)। ব্রিটিশ শাসনামলের পর বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নে প্রায় ১৭৯ গ্রামের প্রায় তিন শতাধিক এন্দেরা (কুয়া) স্থাপন করা হয়। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে সেই এন্দেরা (কুয়া) গুলো। ব্রিটিশ শাসনামলের পর ওই এলাকার মানুষ খাল-বিল, নদী-নালা ও পুকুরের পানি রান্না ও খাবারের কাজে ব্যবহার করতো। এরপর মানুষ সচেতন ও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগার পূর্বেই তারা তাদের বসতবাড়ির আঙিনায় কিংবা সড়কের পাশে এন্দেরা (কুয়া) স্থাপন করে নদী-নালা, খাল-বিল ও পুকুরের পানি পরিহার করে। এরপর আধুনিক যুগের ছোঁয়া লাগায় বর্তমানে প্রতিটি গ্রাম, পাড়া, মহল্লা কিংবা বাড়িতে বাড়িতে সরকারী সহায়তার পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগে স্থাপন করে টিউবওয়েল। ফলে ওই এলাকার মানুষ ক্রমান্বয়ে বিশুদ্ধ পানি পান করা শুরু করে। ফলে এলাকাবাসীরা দীর্ঘদিন যাবত পানিবাহিত রোগ কলেরা, আমাশয়, ডায়রিয়া সহ পেটের জটিল ও কঠিন রোগ থেকে রক্ষা পায়।
বর্তমানে ওই উপজেলায় এখনও প্রায় দেড় শতাধিক এন্দেরা (কুয়া) থাকলেও সেগুলোর বেশিরভাগ ব্যবহারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এখন আর মানুষ এন্দেরা (কুয়া’র) পানি ব্যবহার করতে চায় না।
এ ব্যাপারে হলিদাবগা গ্রামের মোঃ মতিয়ার রহমান ও এমদাদুল হক মাষ্টার জানান, তাদের বাড়িতে ব্রিটিশ আমলের এন্দেরা (কুয়া) স্থাপন করা হয়। গত ২০০০ সাল থেকে ওই কুয়ার পানি আর পান করা হয় না। কুয়াটি সংস্কার করা হলে পানি পান করা যেতে পারে।
এ বিষয়ে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের লিভার ও পরিপাক তন্ত্র বিশেষজ্ঞ ডাঃ মোকছেদুল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এক সময় সমাজের মানুষ অসচেতন ছিল। ছিলনা তাদের হাতে পর্যাপ্ত অর্থ। তাই তারা নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুরের পানি পান করতো। আর এতে করে গ্রামাঞ্চলের মানুষ পানিবাহিত রোগের পাশাপাশি পেটের পীড়ায় ভুক্ত

দৈনিক বগুড়া

সর্বশেষ: