সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ার চরাঞ্চলে মরিচের বাম্পার ফলন, ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষক

বগুড়ার চরাঞ্চলে মরিচের বাম্পার ফলন, ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষক

চরাঞ্চলে মরিচ শুকাচ্ছেন শ্রমিকরা বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। এই এলাকার একটি পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়নে রেকর্ড পরিমাণ মরিচের উৎপাদন হয়েছে। বাজারদর বেশি হওয়ায় কৃষকরাও অনেক খুশি।

গতকাল শুক্রবার (৫ মার্চ) সকালে সোনাতলা উপজেলার পাকুল্যা ও করমজা হাটসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে দেখা গেছে,পর্যাপ্ত পরিমাণ কাঁচা ও শুকনো মরিচ উঠেছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারাও মরিচ কিনতে এসেছেন।  ভালো দাম পেয়ে কৃষকরা খুশি মনে বাড়িতে ফিরছেন।

সোনাতলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন সরদার জানান, কৃষকরা চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় এক হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড জাতের ‘সনিক’, ‘১৭০১’, ‘বিজলী প্লাস’ এবং স্থানীয় জাতের মরিচ চাষ করেছেন। যমুনা ও বাঙালি নদীর চরাঞ্চল ও অন্য এলাকার জমিতে পলি জমায় মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে ১৪-১৫ মণ মরিচ পাওয়া যাচ্ছে। হাট-বাজারে প্রতি মণ মরিচ বিক্রি হচ্ছে, এক হাজার ৬০০ টাকা থেকে এক হাজার ৮০০ টাকায়। আবার টোপা (লাল) ও শুকনো মরিচ দুই থেকে আড়াই হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

খাবুলিয়া গ্রামের কৃষক শামসুল হক জানান, তিনি এবার পাঁচ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করে দেড় লক্ষাধিক টাকা আয় করেছেন। আরেক কৃষক পাকুল্যা গ্রামের ফরহাদ হোসেন জানান, এবার তিনি ৬ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। চাহিদামতো দাম পেয়ে তিনিও সন্তুষ্ট। ঠাকুরপাড়া গ্রামের কৃষক তোজাম্মেল হক জানান, তিনি এ বছর প্রায় ৭ বিঘা জমিতে হাইব্রিড জাতের মরিচ চাষ করেন। তিনি ভালো ফলন পেয়েছেন। ইতোমধ্যে তিনি দেড় লাখ টাকার মরিচ বিক্রি করেছেন।

দৈনিক বগুড়া

সর্বশেষ: