শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

নন্দীগ্রামে আলু বাম্পার ফলন, লাভের অংক গুণছে চাষীরা

নন্দীগ্রামে আলু বাম্পার ফলন, লাভের অংক গুণছে চাষীরা

বগুড়ার নন্দীগ্রামে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। সেই সাথে আলু চাষীরা লাভের অংক গুণছে। বর্তমানে আলুর বাজারমূল্য ভালো রয়েছে। এতে আলু চাষীদের মুখে হাসি ফুটেছে। সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা অপরূপ এই বাংলাদেশ। এদেশের মাটিতে সবধরণের ফসল ফলানো হয়। তেমনি বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার মাটিতেও সবধরণের ফসল ফলানো হয়ে থাকে।

এ উপজেলার ফসলি জমিতে উর্বরশক্তি অনেক বেশি থাকায় বছরে ৩ বার ধানের চাষাবাদের পাশাপাশি রবিশস্যরও চাষাবাদ করা হয়। এবারো তাই হয়েছে। আমন ধান কাটার পরেই রবিশস্যর চাষাবাদ শরু করা হয়ে থাকে। এবারের রবি মৌসুমে উপজেলায় ৪ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আলুর চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো। কিন্তু ৩ হাজার ৪শ’ ৮০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষাবাদ হয়েছে। মাঠের জমি থেকে আলু তোলার কাজ শেষের দিকে।

এদিকে আলুর পাইকাররা হাট-বাজারে না গিয়ে বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে রাস্তাঘাট থেকে আলু ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে। কৃষকরাও গ্রামে থেকেই সুবিধাজনকভাবেই আলু বিক্রয় করতে পারছে। বর্তমান আলুর পাইকারী বাজারমূল্য ১০ থেকে ১২ টাকা কেজি দর। এ উপজেলায় ডায়মন্ড, কার্ডিনাল, এস্টিকস্ ও পাকড়িসহ বিভিন্ন জাতের আলু চাষাবাদ হয়। উপজেলার বীরপলি গ্রামের কৃষক রুহুল আমিন ১০০ বিঘা জমিতে আলুর চাষাবাদ করে।

মুরাদপুর গ্রামের কৃষক রণজিৎ কুমার ৩০ বিঘা জমিতে আলুর চাষাবাদ করেছে। রিধইল গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম ৫ বিঘা জমিতে আলুর চাষাবাদ করে, ভূষ্কুর গ্রামের কৃষক আব্দুল আলিম ৩ বিঘা জমিতে আলুর চাষাবাদ করে ও কাথম গ্রামের কৃষক মহন্ত কুমার সাড়ে ৯ বিঘা জমিতে আলুর চাষাবাদ করেছে। তারা জানিয়েছে, এবারো আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। বিঘা প্রতি ১২০ থেকে ১৩০ মণ হারে আলুর ফলন হয়েছে। কৃষকরা আলুর চাষাবাদকে লাভজনক চাষাবাদ হিসেবে গণ্য করছে।

আলুর চাষাবাদে যে পরিমাণ ব্যয় হয়, সে পরিমাণ আয়ও হয়। তাই আলুর চাষাবাদকে লাভ জনক চাষাবাদ মনে করে কৃষক। আলুর ফলন ভালো হলে বিঘা প্রতি ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা লাভ হয়। এজন্য কৃষকরা আলুর চাষাবাদে ব্যাপক আগ্রহী হয়ে উঠেছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবু বলেন, এবারো এ উপজেলায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে কৃষকরা অনেকটা লাভবান হবে। আমরাও এমনটাই আশা করেছি। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাকিরুল ইসলাম বলেন, আলুর চাষাবাদ অনেকটা লাভজনক বলেই কৃষকরা আলু চাষে আগ্রহী হয়েছে। আমরাও মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের বিভিন্নভাবে সহযোগীতা ও পরামর্শ দিয়ে থাকি।

দৈনিক বগুড়া

সর্বশেষ: