শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

সোনাতলায় বেগুনের বাম্পার ফলন, ভালো দাম পেয়ে কৃষক খুশি

সোনাতলায় বেগুনের বাম্পার ফলন, ভালো দাম পেয়ে কৃষক খুশি

বগুড়ার সোনাতলায় বেগুনের বাম্পার ফলন হয়েছে। পাশাপাশি ভালো দাম পেয়ে কৃষক বেজায় খুশি। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার কৃষকেরা শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন সময়ে বেগুন চাষ করে থাকে।

এবার ওই উপজেলায় শীতকালীন ১৮০ হেক্টর এবং গ্রীষ্মকালীন সময়ে ৫০ হেক্টর এ নিয়ে মোট ২৩০ হেক্টর জমিতে বেগুন চাষ করা হয়েছে। সূত্র আরও জানায়, ওই উপজেলার কৃষকেরা ৪ জাতের বেগুন চাষ করে। এর মধ্যে রয়েছে পার্পোল কিং, সিং নাথ, কাজলা ও হাইব্রিড জাতের বেগুন।

গতকাল বৃহস্পতিবার সরজমিনে উপজেলার কর্পূর, বারঘড়িয়া, মহিচরণ, বালুয়াহাট, হাটকরমজা, কোড়াডাঙ্গা, পোড়াপাইকর, শ্যামপুর, ঠাকুরপাড়া, কুশাহাটা, হুয়াকুয়া, হরিখালী, তেকানীচুকাইনগর, কানুপুর, ধর্মকুল, ফাজিলপুর এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, এবার বেগুনের বাম্পার ফলন হয়েছে। এদিকে হাটে বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

আড়িয়ারঘাট এলাকার শামছুল হক নামের এক কৃষক জানান, এবার তিনি দেড় বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করেছেন। ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। প্রতি কেজি বেগুন তিনি ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। ধর্মকুল এলাকার তুহিন মিয়া জানান, এবার তিনি আড়াই বিঘা জমিতে বেগুনের চাষ করেছেন, এবার তিনি এক বিঘা জমির বেগুন বিক্রি করেছেন প্রায় ৭০ হাজার টাকা।
পুগলিয়া এলাকার সাইদুর রহমান জানান, এবছর তিনি কাজলা ও পার্পোল কিং জাতের বেগুন চাষ করে সংসারে অভাব অনটন দূর করেছেন। তিনি প্রতিবছর শীত ও গ্রীষ্মকালে বেগুন চাষ করেন। এ বিষয়ে পূর্ব করমজা এলাকার কৃষক দুলু মিয়া জানান, তিনি প্রতিবছর শাক-সবজির চাষ করে থাকেন। এবারও তিনি প্রায় দেড় বিঘা জমিতে সবজি চাষ করেছেন।

এর মধ্যে বেগুন রয়েছে প্রায় ২০ শতক জমিতে। শুরু থেকেই দাম পেয়েছে বেশ ভালো। এতে তিনি বেজায় খুশি। এ বিষয়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ইউসুফ আলী জানান, বেগুনের চারা লাগানোর ৫০-৬৫ দিনের মাথায় বেগুন গাছে ফুল আসে। এরপর ৪-৫ মাস ওই বেগুন গাছ থেকে কৃষক বেগুন তুলতে সক্ষম হয়। আর গ্রীষ্মকালে মে-জুন মাসে বেগুনের চারা রোপন করে আর শীতকালে ফেব্রæয়ারী-মার্চ মাসে কৃষক বেগুনের চারা রোপন করে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মাসুদ আহমেদ জানান, গ্রাম-গঞ্জের মানুষের বেগুন একটি জনপ্রিয় খাদ্য। এই এলাকার প্রায় ৮৫ ভাগ মানুষ সরাসরি কৃষি কাজের সাথে জড়িত। এই এলাকার বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠী প্রতিবছর বেগুন চাষ করে বাড়তি অর্থ ঘরে তুলতে সক্ষম হয়।

দৈনিক বগুড়া

সর্বশেষ: