রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ার নবাববাড়ি রোডে ‘রোলার কোস্টার আইসক্রিম’

বগুড়ার নবাববাড়ি রোডে ‘রোলার কোস্টার আইসক্রিম’

রোলার কোস্টার আইসক্রিম। ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেশ জনপ্রিয় একটি খাবার। দেশে এমন খাবারের সন্ধান খুব কমই চোখে পড়ে। তবে উত্তরাঞ্চলে এবারই প্রথম সুস্বাদু এই খাবারটি নিয়ে এসেছেন জহুরুল ইসলাম। বগুড়া শহরের নবাব বাড়ি রোডে ভাসমান দোকানে করে রোলার কোস্টার আইসক্রিম বিক্রি করছেন এই যুবক।

মূলত বরফের সাথে দেশী ও বিদেশী নানা ফলের মিশ্রনে এই আইসক্রিমটি ক্রেতাদের কাছে পরিবেশন করা হচ্ছে। এটি তৈরীতে ব্যবহৃত ফলের তালিকায় রয়েছে কলা, আম, কাঠাল ও ড্রাগন। এছাড়াও স্বাদ বৃদ্ধিতে ব্যবহার করা হচ্ছে দুধ ও লিকুইড চকলেট ফ্লেভার। হাতে তৈরী প্রতি বাটি আইসক্রিমের দাম রাখা হচ্ছে ৫০ টাকা। তবে আইসক্রিমের পরিমাণের তুলনায় দাম কিছুটা বেশি বলছেন ক্রেতারা।

শহরের জিলা স্কুলের শিক্ষার্থী তানজিম সারোয়ার বলেন, ‘আগে এই আইসক্রিমের ভিডিও ইউটিউবে দেখতাম। এখন আমাদের বগুড়াতেই পাওয়া যাচ্ছে। স্বাদও ভালোই। তবে দাম খানিকটা বেশি মনে হয়েছে।’ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সরিফুল ইসলাম জানান, ‘আইসক্রিমটি বগুড়াতে এবারই প্রথম দেখলাম। এক বাটি খেয়েছি, বেশ ভালোই লেগেছে।’

এদিকে উদ্যোগ নেয়ার মাত্র চার দিনেই শহর জুরে বেশ সাড়া ফেলেছে এই আইসক্রিম। স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী থেকে নানা শ্রেনী পেশার মানুষরা এই খাবারের স্বাদ নিচ্ছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে ভিডিও দেখে যাত্রাটা শুরু হলেও জহুরুলের স্বপ্ন আরো বড় হতে চান। ভাসমান এই ব্যবসায় সফলতার মুখ দেখলে তিনি হতে চান সফল উদ্যোক্তাদের একজন।

উদ্যোক্তা জহুরুল ইসলাম বললেন, ‘গেল কয়েকমাস আগে আমি ফেসবুকে একটি ভিডিও দেখি। তারপর থেকেই আমি এই আইসক্রিম বানানোর সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু নানা কারণে শুরু করতে পারছিলাম না। অবশেষে সব প্রক্রিয়া শেষে গত ৪ দিন আগে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছি।’

আইসক্রিম তৈরীতে ব্যবহৃত মেশিন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমার এই মেশিনটি বানাতে খরচ হয়েছে ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকার মতো। ভবিষ্যতে সফল হলে আরো উন্নত মানের মেশিন এনে সবাই নতুন নতুন খাবারের স্বাদ দিতে চাই।’

দৈনিক বগুড়া

সর্বশেষ: