বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ায় অবৈধভাবে ধান মজুদ: ভ্রাম্যমান আদালতে ৬ লক্ষ টাকা জরিমানা

বগুড়ায় অবৈধভাবে ধান মজুদ: ভ্রাম্যমান আদালতে ৬ লক্ষ টাকা জরিমানা

বগুড়ার শেরপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের পৃথক অভিযানে দুই ধান ব্যবসায়ীকে ৬ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অবৈধভাবে ধান মজুদ, কৃষি বিপনন লাইসেন্স না নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা এবং পাটজাত মোড়ক ব্যবহার না করে প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার করায় এই জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে অভিযানে উদ্ধার করা ধান আগামী ৭দিনের মধ্য বিক্রির নির্দেশ দেয়া হয়েছে আদালতে।

রোববার রাতে শেরপুরের বিসমিল্লাহ অটো রাইস মিল ও আলাল এগ্রো ফুডের অটো রাইস মিলে পৃথক এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এর মধ্যে বিসমিল্লাহ অটো রাইস মিলে আদালত পরিচালনা করেন শেরপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাবরিনা শারমিন। আর আলাল অটো রাইস মিলে অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট যথাক্রমে মুহ. শাহনুর জামান এবং জান্নাতুল নাইম।
সোমবার সকালে এসব তথ্য বগুড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষে নিশ্চিত করেন সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল নাইম।

তিনি জানান, বিসমিল্লাহ অটো রাইস মিলের গুদামে অবৈধ ধানের মজুদ রয়েছে এমন গোপন সংবাদে সেখানে অভিযান পরিচালনা করেন শেরপুরের এসিল্যান্ড সাবরিনা শারমিন। অভিযানে ৪ হাজারেরও বেশি বস্তা ধান পাওয়া যায়। প্রতি বস্তায় ৭১ কেজি করে ধান ছিল মর্মে জানান তিনি। ধানগুলো চারমাস আগের। যা অবৈধ মজুদ হিসেবে দেখা যায় অভিযানে। এ কারণে ওই মিলের মালিক আব্দুল কুদ্দুস ভুঁইয়াকে কুদুকে ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন। একই সঙ্গে মজুদ রাখা ধান আগামী ৭দিনের মধ্য বিক্রির নির্দেশ দেয়া হয়। আব্দুল কুদ্দুস উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি পদে রয়েছেন।

এদিকে একই রাতে আলাল অটো রাইস মিলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের পৃথক আরেকটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের নেতৃত্বে থাকা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল নাইম জানান, এ প্রতিষ্ঠান কৃষি বিপণন লাইসেন্স গ্রহণ না করে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও আলাল রাইস মিলের পণ্যে পাটজাত মোড়ক পাওয়া যায়নি। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী চাল জাতীয় খাদ্য মোড়কে পাটের বস্তা ব্যবহার করতে হবে। এই অপরাধে প্রতিষ্ঠানকে আরও ৪০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয় বলে জানান তিনি।

অভিযানে জেলা বাজার পরিদর্শক আবু তাহেরসহ শেরপুরের খাদ্য পরিদর্শক সহযোগিতা করেন। এ ছাড়া অভিযানে জেলা পুলিশ এবং এপিবিএন বগুড়ার সদস্যগণ আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে ছিলেন।

দৈনিক বগুড়া

সর্বশেষ: