শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

সারিয়াকান্দির চরে গাইঞ্জা ধান রোপণে ব্যস্ত চাষি

সারিয়াকান্দির চরে গাইঞ্জা ধান রোপণে ব্যস্ত চাষি

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে চরের চাষিরা গাইঞ্জা ধানের চারা রোপনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। নাওয়া- খাওয়া ছেড়ে চারা গাছ রোপনে সময় দিচ্ছেন তারা। তবে বেশি বন্যা না হওয়ায় গাইঞ্জা ধান চাষের জমির আয়তন বাড়েনি। একারনে ধানের চাষ কিছু কম হতে পারে এমন আশঙ্কা করছেন চরের চাষিরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর বন্যা তেমন একটা হয়নি। দফায় দফায় বন্যা হলেও এবার সে বন্যা হয়নি যমুনা ও বাঙালী নদীতে। যে বন্যা হয়েছে, তাতে গাইঞ্জা ধান চাষের উপযোগী পলি মাটি তেমন একটা আসেনি। বরং কিছু পরিমান জমিতে বালির আস্তরন পড়ে জমি পরিমান কমেছে। এসব জমিতে কোনো রকম আবাদ করার উপযোগী হয়নি। চাষিরা বলেছেন, বন্যার উপর নির্ভর করে পরর্বতি গাইঞ্জা ধানের আবাদ। সর্বশেষ যমুনা নদীতে পাহাড়ী ঢলের পানি এলেও তাতে পলি মাটি আসেনি। চাষের উপযোগি জমি রয়েছে তাতে গাইঞ্জা ধানের চারা রোপন শুরূ করা হয়েছে। কর্ণিবাড়ি, বোহাইল, কাজলা, চালুয়াবাড়ি, হাটশেরপুর ও সদর ইউনিয়নের চর এলাকায় সবচেয়ে বেশি গাইঞ্জা ধান আবাদ করা হবে বলে তারা বলেন। তারা এও বলেন, চরের উঁচু-নিচু জমিতে এ ধানের আবাদ করা হয়ে থাকে। এছাড়াও রাসায়নিক সার তেমন একটা প্রয়োজন হয়না।  

চালুবাড়ি ইউনিয়নের পূর্ব সুজাইতপুর গ্রামের চাষি বুলু সরকার বলেন, বন্যা তেমন হয়নি, পলি মাটিও পড়েনি তেমন। তবে আমি এবার ৮ থেকে ১০ বিঘা জমিতে গাইঞ্জা ধানের আবাদ করব। এরই মধ্য ৪ বিঘা জমিতে চারা রোপন শেষ করেছি। উপজেলা কৃষি অধিপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে প্রায় ৩ হাজার ২২ হেক্টর জমিতে গাইঞ্জা ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে এর মধ্যে প্রায় ১ হাজার দুইশ হেক্টর জমিতে এ ধান রোপন শেষ করা হয়েছে। 

উপজেলা কৃষি অফিসার মো: আব্দুল হালিম বলেন, চরের চাষিরা পরিশ্রমি। তারা যে কোনো ফসল ফলাতে হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করে থাকেন। বিনা চাষে গাইঞ্জা ধান চাষে তাদের অনেক দিনের অন্ন সংস্থান হয়ে থাকে। এ ধানের চালের ভাত সুস্বাদু এবং প্রাপ্ত খড় গো-খাদ্য জন্য খুবই উপযোগী।       

দৈনিক বগুড়া

সর্বশেষ: