শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

সেই সংগ্রামী মায়ের ছেলেটি আজ এমপি

সেই সংগ্রামী মায়ের ছেলেটি আজ এমপি

অবিরন নেছার অল্প বয়সেই বিয়ে হয় বগুড়ার ধুনট উপজেলার জালশুকা গ্রামের ডা. মোজাহার আলী আকন্দের সঙ্গে। এরপর একে এক জন্ম হয় তার ৭ সন্তানের। কিন্তু সন্তানেরা বেড়ে উঠার আগেই স্বামীকে হারান। তখন থেকেই শুরু হয় তার টিকে থাকার সংগ্রাম।

এই সংগ্রামী মায়ের স্মৃতিচারণ করেছেন তার জ্যেষ্ঠ সন্তান সংসদ-সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবর রহমান। ১৯৪০ সালে আমার বাবা মোজাহার আলী আকন্দের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। আমার অন্যান্য ভাই-বোনরা হলেন, মরিয়ম খাতুন, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. তোজাম্মেল হক, আব্দুল মজিদ, রেজাউল করিম রেজা, অ্যাড. ফিরোজ আহমেদ ও তৌহিদুল ইসলাম।

বাবা মারা যাওয়ার পর আমাদের খুব কষ্ট করতে হয়েছে। কারণ তখন আমাদের একমাত্র আয়ের উৎস ছিল কৃষি। একজন নারীর পক্ষে সেখান থেকে উপার্জন করা খুবই দুরূহ ছিল। তখন আমি উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র। আমার ও আমার ছোট ভাইয়ের পড়াশোনা প্রায় দুই বছর বন্ধ ছিল।

কিন্তু মা শক্ত হাতে সংসারের হাল ধরে আবার নতুন করে আমাদের সবার লেখাপড়া চালু করেন। আমি ও আমার ছোট ভাই অ্যাড. তোজাম্মেল হক দুজনই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। সেখানেও আমার মায়ের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।

আমার মনে পড়ে, ১৯৭১ সালের মে মাসে আমি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেদিন বাড়ি থেকে বিদায় নেওয়ার জন্য মাকে সালাম করতে গেলাম, মা আমাকে মাথায় হাত দিয়ে দোয়া করে দিলেন। তার চোখে-মুখে বিদায়ের বেদনার সুর থাকলেও দেশকে মুক্ত করার আকুতি আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। তিনি আমাদের সবাইকে সুশিক্ষিত করে গড়ে তুলেছেন। আজ আমরা সবাই প্রতিষ্ঠিত।

দৈনিক বগুড়া

সর্বশেষ: